প্রতীকী ছবি।
করোনা-যুদ্ধে শামিল চিকিৎসক, নার্স-সহ সব স্তরের প্রথম সারির কর্মীদের সম্মান জানিয়ে চিকিৎসক দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন ১ জুলাইয়ে চিকিৎসক দিবস পালিত হয়। গত বছর ওই দিনে ‘চিকিৎসক রত্ন’ সম্মান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন মানবিকতাকে কোভিডের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। নিজেদের জীবন বাজি রেখে যাঁরা দিনরাত লড়ছেন সেই চিকিৎসক, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ, পুলিশ প্রশাসনের কর্মী-সহ সকল প্রথম সারি কর্মীদের সম্মান জানাতে চিকিৎসক দিবসে ছুটি ঘোষণা করছে রাজ্য সরকার। ’’ কেন্দ্রের পাশাপাশি অন্য রাজ্যগুলির কাছেও এই সিদ্ধান্ত নিতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন জানান, চিকিৎসক দিবসে ছুটি ঘোষণার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। অন্য সংগঠনগুলির গলায় অবশ্য ভিন্ন সুর। অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টরসের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই দিন যুদ্ধক্ষেত্রেই থাকবেন। আমাদের ছুটির থেকেও সুরক্ষা বেশি প্রয়োজন।’’ সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরিকাঠামো জোরদার করলে বেশি খুশি হতাম।’’ ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক কৌশিক চাকী বলেন, ‘‘কাজের দিন নষ্ট করে যদি চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে হয়, তা-হলে তার প্রয়োজন নেই।’’
এ দিন করোনায় টেলি-চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘চিকিৎসকদের চেম্বার ঠিক মতো চালু নেই। অনেকে হাসপাতালেও যেতে পারছেন না। রোগীরা যাতে ফোনেই চিকিৎসকের পরামর্শ পান সে জন্য বুধবার দুপুর ১২টা থেকে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু হচ্ছে।’’ আপাতত ১২টি নম্বরের মাধ্যমে এই পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে কলকাতা-সহ প্রতিটি জেলায় পৃথক ফোন নম্বরের মাধ্যমে এই পরিষেবা দেবে রাজ্য সরকার।