মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পূর্ত দফতরের কাজে। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ত দফতরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি কমিউনিটি হল ও দু’টি বড় গেট তৈরির খরচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মমতা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার তিন দিনের জঙ্গলমহল সফরে গিয়েছেন তিনি। সফরের প্রথম দিনে মেদিনীপুর শহরে প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে প্রশাসনিক সভা করেন তিনি। সেখানেই প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওই কমিউনিটি হল তৈরির খরচের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় পূর্ত দফতরের কাজকর্মের ক্ষেত্রে পাওনাগণ্ডা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পিডব্লিউডি-র বড্ড বেশি খাঁই, ওদের দিয়ে সব কাজ করানোর দরকার নেই।’’
মঙ্গলবারের বৈঠকে এখানেই থামেননি মমতা। তিনি বলেন, ‘‘পিডব্লিউডি একটু বেশি টাকা ধরে। ওদের কাজ দেবে না। পিডব্লিউডি-র এত খাঁই কেন? কোনও কিছু করতে চায় না। করতে গেলেও এমন বাজেট ধরবে যে, বলার না। প্রথমে পাঁচ টাকা ধরবে। তারপর এক বছর পর রিকাস্ট করে বলবে ১৫ টাকা। এই অভ্যাসটা বন্ধ করো।’’
সেই সময়ে এক আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন বিস্তারিত প্রকল্প-রিপোর্ট (ডিপিআর) অনেকদিন আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিপিআর করেও আটকে গিয়েছে? কত টাকা ধরা হয়েছে?’’ আধিকারিক জানান, ৩০-৪০ লক্ষ টাকা লাগবে। তারপর আরও অর্থ লাগবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সভায় জানিয়ে দেন, সব কাজ ছয় কোটির মধ্যেই শেষ করতে হবে।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রয়োজনে হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট ও এইচআরবিসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পিডব্লিউডি-র খাঁই কত? আমি যেন কাজ করাই না! কালীঘাট মোড়ে অতবড় গেট করে দিয়েছি ৫০ লক্ষ টাকায়। এত টাকা তো লাগেনি।’’ তিনি নির্দেশ দেন, ‘‘ওই ডিপিআর কেটে ফেলে দাও। কী ডিপিআর তৈরি করেছে আমাকে দেখিও তো! এখন তো কত হালকার উপর কাজ হয়। কিন্তু এমন খরচ দেখাচ্ছে যেন, খোদাই করে কাজ হবে। কলকাতায় তো এত কিছুর নির্মাণ হয়, তাতে তো এত খরচ হয় না।’’