শান্তি নষ্ট করতে উস্কানি দিচ্ছেন রাজ্যপালও, দাবি মমতার

গত কয়েকদিন ধরেই পরপর টুইট করে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন ধনখড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩১
Share:

ছবি: পিটিআই।

রাজ্যপালকে ‘সাংবিধানিক কর্তব্য’ স্মরণ করিয়ে এ বার সরাসরি চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে এমন কিছু অংশকে রাজ্যপাল যে ভাবে উস্কানি দিচ্ছেন, তা উদ্বেগের। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। রাজ্যপালও যেন সেই কাজে সরকারকে সহযোগিতা করেন।

Advertisement

গত কয়েকদিন ধরেই পরপর টুইট করে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন ধনখড়। রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেও এক প্রস্ত রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নিন্দা-মন্দ করেছেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে সোমবার রেড রোড থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত মিছিল ছিল মমতার। তার আগে সকালে টুইট করে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা টুইটে জানিয়ে দেন, ‘‘এই মিছিল আইনের গণ্ডিতে থেকেই শান্তিপূর্ণ পথে মানুষের আন্দোলন। সকলে আসুন ।’’

তার আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে এ দিনই রাজভবনে তলবও করেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁরা যাননি। এর পর সোমবার ফের টুইট করে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই আজ, মঙ্গলবার রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন ধনখড়।

Advertisement

আরও পড়ুন: মিছিল থেকে বিজেপি অফিস ‘আক্রমণের’ অভিযোগ দিলীপের

ওই টুইটের পরে চিঠি লিখে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে মমতা লেখেন, রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে রাজ্যপালের পরপর টুইট দেখে তিনি দুঃখিত। রাজ্যের সিনিয়র অফিসারদেরও যে ভাবে এর মধ্যে টেনে আনা হচ্ছে, তা নিয়েও তিনি স্তম্ভিত। রাজ্যপালের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, এই মুহূর্তে রাজ্য এবং সারা দেশে যা চলছে, তাতে শান্তি বজায় রাখাই রাজ্য প্রশাসনের একমাত্র কাজ। রাজ্যপালের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা হল, রাজ্যের সেই কাজকে সমর্থন করা।

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে ফের জবাব দেন রাজ্যপাল। লেখেন, ‘‘সাংবিধানিক চৌহদ্দির মধ্যেই তিনি রয়েছেন। মঙ্গলবারের সাক্ষাৎ পর্বে তা নিয়েই তিনি আলোচনা করতে চান।’’

আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায় মমতার মিছিল। তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় নবান্নে বলেন, ‘‘রাজ্যের শান্তি রক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত। এখন কোথাও গিয়ে চা খেয়ে তাঁর নষ্ট করার মতো সময় নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement