শুভব্রত চক্রবর্তীর ভাইয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —সংগৃহীত।
শুভেন্দু অধিকারীর একদা দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সোমবার নতুন করে তুলে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর জেলায় দাঁড়িয়েই। শুভব্রতের ভাইকে নিমতৌড়ির সরকারি সভার মঞ্চে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং আশ্বাস দিলেন ‘বিচার’ পাইয়ে দেওয়ারও।
২০১৮ সালের অক্টোবরে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরের দিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর ২ বছর ৮ মাস পর ২০২১ সালের জুলাই মাসে স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভব্রতের স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। দায়ের হওয়া অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই মামলার দায়িত্ব নেয় সিআইডি। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জেও গিয়েছিল সিআইডির দল। পরে অবশ্য আদালত থেকে রক্ষাকবচ পান শুভেন্দু। কলকাতা হাই কোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল, মৃত্যুর এত দিন বাদে কেন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশকে ‘ভর্ৎসনা’ করেছিল আদালত। সোমবার সেই প্রসঙ্গ নতুন করে তুললেন মমতা।
নাম না করে শুভেন্দুর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘এই তো আদালতের প্রোটেকশনে (রক্ষাকবচ) বেঁচে আছে।’’ তার পরেই শুভব্রতের ভাইকে মঞ্চে ডেকে নেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যার ভাই মারা গিয়েছিল, তার বৌ কেস (মামলা) করেছিল। আমাকে আজও বলল, ‘দেখুন দিদি আমার ভাইটাকে মেরে ফেলল। আমরা কোর্টে কেস করলাম। আজ পর্যন্ত বিচার পাইনি।’’’ তার পরেই শুভব্রতের ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে মমতা বলেন, ‘‘অপেক্ষা করো, অপেক্ষা করো, বিচার পাবেই। ভগবান, ঈশ্বর, আল্লাহ বলে যদি কিছু থাকে, তা হলে এই জগতেই বিচার পাবে।’’