MAKAUT

উপাচার্যের পদ খালি, আতান্তরে ম্যাকাউট

ম্যাকাউটের রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী সোমবার জানান, উপাচার্যের পদ খালি থাকায় বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর্থিক লেনদেন, নির্মাণকাজ বন্ধ আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫৫
Share:

বিপাকে পড়েছে ম্যাকাউট বা রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।

রাজ্য সরকার আর রাজভবনের নতুন সংঘাতের আবহে রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিপাকে পড়েছে ম্যাকাউট বা রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী উপাচার্য পেলেও ম্যাকাউট প্রায় দেড় মাস ধরে উপাচার্যহীন। ফলে সামগ্রিক পরিচালনা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও সেগুলির ফল ঘোষণায় চূড়ান্ত অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আদালতে মামলা এবং রায়ের জেরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ম্যাকাউটের উপাচার্যের পদ থেকে সৈকত মৈত্রকেও সরে যেতে হয়েছে। কে অস্থায়ী উপাচার্য হবেন, রাজ্যপাল এখনও তা জানাননি। মাসখানেক আগেই উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে নিয়মমাফিক অস্থায়ী উপাচার্যের নাম প্রস্তাব করে রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। কিন্তু অস্থায়ী নিয়োগটুকুও হয়নি।

ম্যাকাউটের রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী সোমবার জানান, উপাচার্যের পদ খালি থাকায় বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর্থিক লেনদেন, নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। পরীক্ষা, ফল প্রকাশের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

ম্যাকাউটের অধীনে প্রায় ২০০ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে। তাদের প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা হলেও ফল ঘোষণা করা যাচ্ছে না। পরীক্ষা নিয়ামক শুভাশিস দত্ত জানান, ফল ঘোষণার আগে এগ্‌জ়ামিনেশন কাউন্সিল বা পরীক্ষা পরিষদের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নিতে হয়। উপাচার্যই ওই পরিষদের চেয়ারম্যান। কিন্তু উপাচার্য না-থাকায় এই দুই সিমেস্টারের ফল মার্চের শেষের দিকে বেরোনোর কথা থাকলেও বেরোয়নি।

অন্য সিমেস্টারের পরীক্ষা নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে। মে-র শেষে দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, অষ্টম সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। তা নিয়েও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হওয়া প্রয়োজন। সেই কাউন্সিলেরও চেয়ারম্যান উপাচার্য। শুভাশিস জানান, অষ্টম অর্থাৎ চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষার ফল দেরিতে বেরোলে চাকরিতে যোগ দিতে সমস্যা হবে পড়ুয়াদের। অনেকেই ইতিমধ্যে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন।

২০০ কলেজে পরীক্ষার খাতার দাম প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা। উপাচার্যের পদ শূন্য থাকায় গত পরীক্ষার খাতার দাম মেটানো যায়নি। সরবরাহকারী সংস্থা আর খাতা দেবে কি না, সংশয় দেখা দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement