তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া মইনুদ্দিন গাজি। —ফাইল চিত্র ।
সিআইডির তলবে সাড়া দিয়ে ভবানী ভবনে পৌঁছলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মক্কা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মনোনয়ন জমা দেওয়া মইনুদ্দিন গাজি। সূত্রের খবর, গত ২৮ জুলাই তাঁকে ভবানী ভবনে তলব করে সিআইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়েই মঙ্গলবার সকালে ভবানী ভবনে পৌঁছেছেন মইনুদ্দিন। সিআইডি সূত্রে খবর, কী ভাবে মক্কা থেকে মিনাখাঁর বিডিও অফিসে যোগাযোগ করে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন মইনুদ্দিন, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।
এর আগে মইনুদ্দিনের মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রসঙ্গে মিনাখাঁর বিডিওকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। মইনুদ্দিনকে তলবের আগে তাঁর নামের প্রস্তাবক-সহ মোট সাত জনকে ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। এঁদের মধ্যে চার জন আবার বিডিও অফিসের কর্মচারী। এ বার ডাক পড়েছে মইনুদ্দিনের।
মইনুদ্দিন হজ করতে মক্কায় গিয়েছিলেন। গত ৪ জুন সৌদি আরবে যান তিনি। ৮ জুন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন। মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয় গত ৯ জুন থেকে। শেষ হয় ১৫ জুন। ওই সময়ে মইনুদ্দিন ছিলেন মক্কাতে। কিন্তু স্ক্রুটিনির সময় দেখা যায়, এই মইনুদ্দিনই কুমারজোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পঞ্চায়েত ভোটের সময় হইচই পড়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়।
মক্কা থেকে মিনাখাঁয় প্রার্থী হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয় মামলাকারীর তরফে। কিন্তু হাই কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে সিআইডিকে তদন্তভার দেয়। ইতিমধ্যে মিনাখাঁর বিডিও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত করছেন সিআইডি-র আধিকারিকেরা।