আর এক ‘রানু’র সন্ধান মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। —নিজস্ব চিত্র।
মুকেশ-লতার গান শুনিয়ে রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছেন রানাঘাটের রানু। মুম্বইয়ে রিয়ালিটি শোয়ে গান গাওয়ার ডাকও পেয়েছেন তিনি। রানুকে নিয়ে যখন মাতামাতি চলছে, তখন আর এক ‘রানু’র সন্ধান মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। তাঁর নাম পারুল মুখোপাধ্যায়।
লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘তসবির তেরি দিল মে...’ গানটি ইতিমধ্যেই পারুলের গলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছড়িয়ে পড়েছে তা সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা রানাঘাটের রানুর সঙ্গে পারুলের তুলনাও শুরু করে দিয়েছেন। লতার ‘কুছ পা কর খোনা হ্যায়...’ গানটি রানুকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। পারুলের কণ্ঠে সেই লতার গানই মজিয়ে দিয়েছে নেটিজেনদের।
রানাঘাট স্টেশনে বসে অনেক দিন ধরেই গুনগুন করতেন রানু। কেউ গান শোনানোর অনুরোধ করলে গেয়েও শোনাতেন। এ ভাবেই প্ল্যাটফর্মে বসে তাঁর শোনানো গান রেকর্ড করেছিলেন এক যাত্রী। তার পর ফেসবুকে পোস্ট। বাকিটা ইতিহাস। মহেশতলার বাসিন্দা পারুল মুখোপাধ্যায়ের গানও এক ব্যক্তি রেকর্ড করে সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তার পরই ঝড়ের গতিতে সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে পড়ছে। নেটিজেনরা সে গান নিয়ে আলোচনাও করছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘পারুলের গলা রানুর থেকেও সুরেলা’। কেউ লিখছেন, ‘রানুর মতো রিয়ালিটি শোতে সুযোগ পাওয়া উচিত পারুলেরও’। কেউ আবার লিখেছেন, ‘তসবির তেরি দিল মে... গানটা শুনে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল’।
রানুর বাড়ি ছিল কৃষ্ণনগরের নতুনপাড়ায়। পরে তিনি রানাঘাটের বেগোপাড়ায় মাসির বাড়িতে চলে আসেন। বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে চলে যান মুম্বই। আঠারো বছরের সংসার। সেখানেই রয়েছে দুই ছেলেমেয়ে। ইতিমধ্যে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকায় তিনি ফিরে আসেন বেগোপাড়াতেই। তাকে কেউ লেখাপড়া শেখায়নি। গানও শেখায়নি।
আরও পড়ুন: কেউ গান শেখাননি, বলছেন ভাইরাল রাণু
আরও পড়ুন: বিয়েতে নারাজ প্রেমিক, গলায় ফাঁস দেওয়া ছবি পাঠিয়েই আত্মঘাতী সিউড়ির কলেজ শিক্ষিকা
আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে শ্যামাপ্রসাদ, গ্রামে গ্রামে কাটমানি বিক্ষোভ, জোড়া ফলা নিয়ে মাঠে নামছে বিজেপি
আরও পড়ুন: পিকে-র ‘ঝুলনে’ দিদির উন্নয়ন চিত্র, সঙ্গী অভিষেক
পারুলের জীবনও বয়ে গিয়েছে খানিকটা সেই খাতে। তিনিও শুনে শুনেই গান শিখেছেন। স্বামী মারা গিয়েছেন বছর সাতেক আগে। অভাবের সংসার। ছেলে মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ লিখেছেন। বাড়ি বাড়ি কাজ করে দিন চলে। গানই তাঁর প্রাণ। কেউ অনুরোধ করলে, রানুর মতোই এক কলি শুনিয়ে দেন পারুল।