ফাইল চিত্র।
টোকাটুকি, নকলবাজি রুখতে সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। তবে গত বছরের থেকেও এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছে মাধ্যমিকে।
আজ, মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার জানান, গত বারের তুলনায় এ বার পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। পরীক্ষার্থী হ্রাসের প্রবণতা দেখা যায় ২০১৭ সালে। ২০১৯ সালে ২০১৮-র তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছিল অন্তত ১৮ হাজার। এ বছর আরও কমল। তবে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। পুরুষ ৪,৩৯,৮৭৯ জন। মেয়ে ৫,৭৬,০০৯ জন। পরীক্ষা চলাকীলান ৪৩টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর সব পরীক্ষাই বাতিল হয়ে যাবে।
গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পর্ষদ-সভাপতি তখন জানিয়েছিলেন, জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় এবং মাধ্যমিকে অকৃতকার্যের সংখ্যা কমায় পরীক্ষার্থী কমছে। এ বার অবশ্য তিনি জন্মহার হ্রাসের কথা তোলেননি। তিনি বলেন, ‘‘পাশের হার প্রতি বছর বাড়ছে। গত বছর পাশের হার অনেক বেশি থাকায় এ বার পরীক্ষার্থী কমেছে।’’ অন্য বোর্ডে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে কি না, তা জানতে চাইলে কল্যাণময়বাবু বলেন, ‘‘আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন।’’
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের জন্য পথে বেশি বাস
গত বার শেষ দিন ছাড়া সব পরীক্ষাতেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল। যে-সব জেলায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রশ্ন বাইরে গিয়েছিল, সেখানে এ বছর পরীক্ষা শুরুর সময় থেকেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, বীরভূম-সহ কয়েকটি জেলার মোট ৪৩টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে।
পরীক্ষা-ঘরে নিষিদ্ধ
• পরীক্ষার্থীদের জন্য: মোবাইল, স্মার্ট ঘড়ি-সহ বৈদ্যুতিন গ্যাজেট, বইয়ের ব্যাগ।
• শিক্ষকদের জন্য: মোবাইল, স্মার্ট ঘড়ি।
রাজ্য জুড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৩৯। পর্ষদ-প্রধান জানান, প্রধান শিক্ষকের ঘরে নয়, পরীক্ষার হলে সিল করা প্রশ্নপত্র সরাসরি পৌঁছে যাবে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে। পরীক্ষার্থীদের সামনে ১১টা ৪০ মিনিটে সেই সিল খোলা হবে। প্রশ্নপত্র বিতরণ শুরু হবে ১১টা ৪৫ মিনিটে। পরীক্ষার্থীরা ১১টা ৫৫ মিনিটে খাতা পাবে। পরীক্ষা শুরু বেলা ১২টায়, চলবে বেলা ৩টে পর্যন্ত। নজরদার ছাড়াও আরও পাঁচ জন আধিকারিক থাকবেন। পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন, স্মার্ট ঘড়ি-সহ বৈদ্যুতিন গ্যাজেট ও বইয়ের ব্যাগ রাখা নিষিদ্ধ। তারা নিতে পারবে স্বচ্ছ বোর্ড, পেন রাখার স্বচ্ছ পাউচ। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল, স্মার্ট ঘড়ি নিষিদ্ধ শিক্ষকদেরও।
টালা সেতু বন্ধ থাকায় সংলগ্ন এলাকার পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে পর্ষদ। কল্যাণময়বাবু জানান, যে-সব পরীক্ষার্থীর স্কুল শ্যামবাজারের দিকে, তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র দেওয়া হয়েছে শ্যামবাজারের দিকেই। যাদের স্কুল টালা সেতুর উত্তরে বিটি রোডের দিকে, তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র সে-দিকেই পড়েছে। পরীক্ষার্থীর বাড়ি যদি টালা সেতুর এক পারে হয় এবং স্কুল হয় অন্য দিকে, তা হলে কী হবে? কল্যাণময়বাবু জানান, পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে সরকার।