জয়ন্ত সিংহ। —ফাইল ছবি।
আড়িয়াদহে ‘জয়ন্ত-গ্যাং’-এর ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে ‘জায়ান্ট’-র বিবিধ কার্যকলাপ। সেই প্রেক্ষিতে সমস্ত পুরপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক ডাকলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আজ, সোমবার দুপুরে রয়েছে সেই বৈঠক।
আড়িয়াদহের ‘ত্রাস’ জয়ন্তের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ঘণিষ্ঠতার ছবি সামনে আসতেই কার্যত বেকায়দায় পড়েছে শাসক দল। যদিও প্রতি মুহূর্তে শাসক দলের প্রভাবশালী নেতারা দাবি করেছেন, জয়ন্তের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। সূত্রের খবর, কামারহাটি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে দু’টিতে পুর প্রতিনিধি মারা গিয়েছেন। দু’টি নির্দলের দখলে। ৩১ জন পুরপ্রতিনিধি ও প্রতি ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। তাতে বলা, ‘কামারহাটি বিধানসভার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে’ সাংসদ সৌগত রায়ের নির্দেশে বিধায়ক মদন মিত্র ওই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সভা ডাকছেন। বিরোধীদের নালিশ, জয়ন্তের সঙ্গে বহু ছবিতেই মদন তো বটেই, সৌগতকেও দেখা গিয়েছে। তাঁদের ভোট প্রচারেও ছিল জয়ন্ত।
মদন বলেন, “আড়িয়াদহের বদনাম করতে বিজেপি চক্রান্ত করছে। সেই সমস্ত বিষয় এবং ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।” যদিও সূত্রের খবর, জয়ন্তের সঙ্গে স্থানীয় পুর প্রতিনিধিদের একাংশেরও ভালই সম্পর্ক ছিল। একটা অংশ ছিল জয়ন্তের বিপক্ষে। যার জন্য ২০১৭-এ এক পুর প্রতিনিধির বাড়িতে চড়াও হয় ‘জায়ান্ট’ ও তার দলবল। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ালেও পরে আর কিছু হয়নি। এখনও ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলছেন না ওই প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি। কোনও কোনও পুর প্রতিনিধি আবার কমবেশি মুখ খুলছেন। বিরোধীদের খোঁচা, “মেজো কর্তারা মুখ খুললে, বড় কর্তাদের কীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়া আটকাতেই এই জরুরি সভা।”