শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ মদন মিত্রের। —ফাইল চিত্র।
এক কালের দুই সতীর্থকে এক যোগে আক্রমণ করলেন মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়কের লক্ষ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।
শনিবার আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে যোগ দেন মদন। সেখানে বাবুল প্রসঙ্গে মদনের মন্তব্য ছিল, এলেনই যখন, তবে এত দেরি করে কেন? তবে শুভেন্দু এবং অর্জুন প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় মন্তব্য করেন মদন। মদন এক সময় যুব তৃণমূলের দায়িত্বে ছিলেন। মদনের পরে রাজ্যের পরিবহণ দফতর সামলেছেন শুভেন্দুও। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে তাঁদের এখন অনেক যোজন দূরত্ব। মদন বলেন, ‘‘শুভেন্দু, তুই আমার ছোট ভাই। ডোন্ট বি সো প্রাউড অ্যাবাউট ইওর জেনিথ পোজিশন। আই হ্যাভ সিন দ্যা স্টারস ফলিং। ইতনা ঘমান্ডি মাত হো আপনি বুলন্দি পর, ম্যায় নে সিতারোঁকো গিরতে হুয়ে দেখা।’’
আবার এক কালের সখা অর্জুনের সঙ্গে মদনের সম্পর্কে বুঝতে মনে করতে হবে ২০১৯ সালের ভাটপাড়া বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ। বিধায়ক পদ ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন অর্জুন। আর সেই আসনে বিজেপি প্রার্থী করে অর্জুন-পুত্র পবন সিংহকে। সে বার মদন অবশ্য পবনের কাছে পরাজিত হন। বাবুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় সেই অর্জুনকে কিছু বলবেন না? প্রশ্ন শুনে মজার ছলেই মদন বলেন, ‘‘ক’দিন আগে কলেজ স্ট্রিট গিয়েছিলাম মহাভারত কিনতে। কিন্তু ওঁরা বললেন, মহাভারত বিক্রি করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি কারণ জানতে চাইলাম। বললেন, অর্জুনের নাম আছে বলে অনেকে আপত্তি করেছেন, বলছেন সিং কেটে অর্জুন লিখতে হবে। অর্জুনের জন্য মহাভারত বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’
এখানেই না থেমে মদন তাঁর নিজের অবস্থান সম্পর্কেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি শুভেন্দু আর অর্জুনকে বলব, আমি তোদের মতো সুপারস্টার নই, মেগাস্টারও নই, কিন্তু আমিও টুইঙ্কল টুইঙ্কল লিটল স্টার।’’