বেআইনি মাদক রাখার অভিযোগে ইতিমধ্য়েই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
পার্সেলে মুড়ে মাদক এসে পৌঁছল কলকাতার ডাকঘরে। মঙ্গলবার ট্যাংরার একটি স্থানীয় পোস্ট অফিসে ক্যুরিয়ার মারফত ওই মাদক এসে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে খবর, যার অর্ডার খাস কলকতা থেকেই গিয়েছিল গোয়াতে। পুলিশের অনুমান, হয় বেআইনি মাদকের ব্যবসা অথবা কলকাতার বুকেই কোনও রেভ পার্টিতে ব্যবহার করার জন্য ওই মাদক আনানো হয়েছিল গোয়া থেকে।
মঙ্গলবার এই মাদক আনার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ট্যাংরার ওই পোস্ট অফিসের সামনে থেকেই বেআইনি মাদক রাখার অভিযোগে তারা গ্রেফতার করে মহম্মদ জুনেইদ ওরফে বাবা এবং ফইজ আলমকে। জুনেইদের বয়স ২৪। বাড়ি তিলজলায়। ফইজও তিলজলারই বাসিন্দা। তাঁর বয়স ২১। পুলিশ জানিয়েছে, এঁদের কাছ থেকে ০.৫৪ গ্রাম লাইসারজিক অ্যাসিড ডায়াথিলমাইড অর্থাৎ এলএসডি (৩০ ডোজ) পাওয়া গিয়েছে। যার দাম বেশ কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনেইদ এবং ফইজ কলকাতার বুকে রেভ পার্টির আয়োজন করে। এই ধরনের পার্টি বেআইনি মাদক সেবনের আস্তানা। সম্ভবত সেই সূত্রেই তারা গোয়া থেকে মাদক আনানোর অর্ডার দিয়েছিল কলকাতায়। যদিও বিষয়টি এখনও তদন্তসাপেক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মাদক বেআইনি ব্যবসার জন্যও আনানো হতে পারে।
মহম্মদ জুনেইদ ওরফে বাবা এবং ফৈজ আলম। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ট্যাংরা থেকে। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার দুপুর সাড় তিনটের কিছু পর পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে জুনেইদ এবং ফইজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জুনেইদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫.২৯ গ্রাম এমডিএমএ মাদকও পাওয়া যায়। কোনও ব্যক্তির সংগ্রহে এই মাদক ১০ গ্রামের বেশি রাখা বেআইনি। একই ভাবে আইনসম্মত ভাবে মাত্র ০.১ গ্রাম এলএসডি রাখা যেতে পারে ব্যক্তিগত সংগ্রহে। জুনেইদ এবং ফইজ দু’ক্ষেত্রেই নিয়ম ভেঙেছেন বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার বেআইনি মাদক সংগ্রহে রাখার অভিযোগে তিলজলা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক যুবককে। রাত দেড়টা নাগাদ পিকনিক গার্ডেনের চৌধুরী ভিলার সামনে থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া এই তৃতীয় ব্যক্তির নাম কৌস্তুভ বিশ্বাস। বয়স ২৮। বাড়ি তিলজলার পিকনিক গার্ডেনেই। কৌস্তুভের কাছ থেকে ১.০৬ গ্রাম এলএসডি (৩৫টি ডোজ) এবং ১৫.৯৬ গ্রাম এমডিএমএ পাওয়া গিয়েছে।