‘লং মার্চ’ পৌঁছল বালিতে।—নিজস্ব চিত্র।
চিত্তরঞ্জন থেকে ১২ দিনে ২৮৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ‘লং মার্চ’ পৌঁছচ্ছে কলকাতায়। মূল পদযাত্রার সঙ্গে আরও অন্তত ৫টি জায়গা থেকে মিছিল যাবে ধর্মতলার পথে। তার পরে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশ। মিছিলের জেরে আজ, বুধবার সকাল থেকেই ব্যাঘাত ঘটতে পারে উক্তর ও দক্ষিণ কলকাতার নানা এলাকার স্বাভাবিক যান চলাচলে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাঁচানো, কর্মসংস্থানের দাবি এবং সেই সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে গত ৩০ নভেম্বর চিত্তরঞ্জন থেকে শুরু হয়েছে ‘লং মার্চ’। বাম ও কংগ্রেসের নানা গণ-সংগঠন ওই পদযাত্রায় যোগ দিয়েছে। মূল পদযাত্রা মঙ্গলবার রাতে বালি হয়ে হাওড়ায় ঢুকেছে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চল, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় মিছিল সেরে আসা পদযাত্রীরা আজ ‘লং মার্চ’-এর সঙ্গে পা মিলিয়ে হাঁটতে শুরু করবেন হাওড়া স্টেশন থেকে। বাম সূত্রের দাবি, সেই মিছিলের কলেবর যথেষ্ট বড় হবে। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার দিকে মিছিল নিয়ে যাবেন উত্তর ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদের পদযাত্রীরা। দক্ষিণে সুকান্ত সেতু থেকে শুরু হবে মিছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যে সব ছোট পদযাত্রা চলছে, তাদের একসঙ্গে নিয়ে গড়িয়াহাট, হাজরা মোড় হয়ে মিছিল আসবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে। আবার উত্তরে শ্যামবাজার এবং বন্দর এলাকার খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ থেকেও আসবে আলাদা মিছিল। সব মিলিয়ে অনেকটা বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের দিন যেমন হয়, সে ভাবেই শহর জুড়ে হবে একাধিক মিছিল।
সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে জমায়েত করতে। কিন্তু পুলিশ রাজি না হওয়ার পরে আদালতও ওখানে সভা করার অনুমতি দেয়নি। তাই রানি রাসমণিতে সমাবেশ হবে। ভিড়ের জন্য যতটা পথ অবরুদ্ধ হওয়ার, হবে।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে রাজভবনে দাবি জানাতে যাওয়ারও কথা আছে। বাম শিবিরের অন্দরেই অবশ্য প্রশ্ন আছে, মহারাষ্ট্রের ‘কিসান লং মার্চ’-এর কায়দায় দাবি আদায়ে রাস্তায় ধর্না দিলে সেই কর্মসূচি কি বেশি কার্যকরী হত না!