প্রার্থী বদলে স্বস্তির আশা

গত ভোটে পুরুলিয়ার আদ্রার বাসিন্দা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা, সাংসদ বাসুদেব আচারিয়াকে হারিয়ে জিতেছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মুনমুন সেন।

Advertisement

শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৬
Share:

পাত্রসায়রে সুব্রত। নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়া লোকসভার মধ্যে পড়ে পুরুলিয়ার মাত্র একটি বিধানসভা এলাকা পড়ে। রঘুনাথপুর। আজ, শনিবার সেখানে নির্বাচনী জনসভা করতে আসছেন তৃণমূলের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে নামার আগে স্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ মুনমুন সেন এই বিধানসভা এলাকায় গত পাঁচ বছরে এসেছেন মাত্র তিন বার। সময়ে তাঁকে পাওয়া যায় না বলে দলেরই নেতাকর্মীদের একাংশের ক্ষোভ ছিল। বিরোধী দলগুলিও বারে বারে এই ব্যাপারে কটাক্ষ করেছে। এ বারে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায় বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ায় অনেকটাই উজ্জীবিত রঘুনাথপুরের তৃণমূলের কর্মীরা।

Advertisement

গত বার ভোটে পুরুলিয়ার আদ্রার বাসিন্দা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা, কয়েক বছরের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়াকে হারিয়ে জিতেছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মুনমুন সেন। রঘুনাথপুর বিধানসভা এলাকা থেকেও ভালোই লিড ছিল তৃণমূল প্রার্থীর। এ বারেও মুনমুন প্রার্থী হলে প্রচারে গিয়ে যে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে বলে চিন্তা ছিল দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই। নেতাদের একাংশ বলছেন, ‘‘তারকা প্রার্থীর বদলে বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রার্থী হওয়ায় ভোটে সুবিধা হবে।’’

তৃণমূল সূত্রের দাবি, মূলত সাংসদকে না পাওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল দলের নিচুতলায়। দলের ব্লক স্তরের এক নেতা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন শংসাপত্র, কলকাতার হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করানো, স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য সাংসদের দ্বারস্থ হতে হয়। এলাকার সমস্যা নিয়ে মুনমুনের কাছে দরবার করার সুযোগটাই বিশেষ পেতেন না নেতা কর্মীরা। ওই নেতা বলেন, ‘‘সাংসদ হওয়ার পরে মুনমুনদেবী দলীয় কাজে রঘুনাথপুরে এসেছেন এক বার। প্রশাসনিক কাজে নিতুড়িয়ায় দু’বার। সাঁতুড়ি ব্লকে পাঁচ বছরে একবারও যাননি। ফলে তৃণমূলের সাংসদকে পাওয়াই যায় না এই কটাক্ষ বিরোধীদের পাশাপাশি নিচুতলার কর্মীদের থেকেও শুনতে হত।’’ রঘুনাথপুর পুরসভার এক নেতার কথায়, ‘‘মুনমুন সেন তারকা সাংসদ। পুরসভার নির্বাচনে ওঁকে আসতে অনুরোধ করা হয়েছিল। সাড়া মেলেনি।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সুব্রতবাবু প্রার্থী হওয়ায় প্রচার নিয়ে চিন্তা অনেকটাই কেটেছে নেতাদের। জেলা পরিষদে রঘুনাথপুরের তৃণমূল সদস্য অনাথবন্ধু মাজি মনে করেন, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রতবাবুকে প্রচারে আলাদা করে চেনানোর প্রয়োজন নেই। এটা একটা বড় সুবিধা তাঁদের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সুব্রতবাবু জানেন সংগঠনকে ব্যবহার করে কী ভাবে ভোট করতে হয়। পাশাপাশি, আমরা ওঁকে সব সময়ে পাশে পাব। এটা বুঝে কর্মীরাও উজ্জীবিত হয়ে প্রচারে নেমেছেন।” তবে রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউড়ি বলছেন, ‘‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ভোট দেবেন। সুব্রতবাবু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। ওঁর হাত ধরে এলাকার যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটাও আমরা প্রচারে আনব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement