প্রতীকী ছবি।
ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলল বিজেপি। ইলামবাজার থেকে সাঁইথিয়া, সিউড়ি— বিজেপি অফিসে হামলা, দলীয় কর্মীদের মারধর, জিনিস ভাঙচুরের নালিশ জানালেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তবে অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বিজেপিকেই নিশানা করেছে তৃণমূল। দলের অভিযোগ, প্রচার পেতেই এমন কথা রটানো হচ্ছে। বিজেপির হামলায় তৃণমূলের কর্মী জখম হয়েছেন বলেও নালিশ তুলেছে শাসকদল।
বিজেপির অভিযোগ, শনিবার সকালে তৃণমূলের একটি মিছিল ইলামবাজারে ওই দলের কার্যালয় থেকে বের হয়েছিল। মিছিলে ৫০০-৬০০ তৃণমূল কর্মী শামিল হন। অভিযোগ, ইলামবাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি পৌঁছনোর পরেই ওই মিছিল থেকে কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপির অফিসে হামলা চালায়। ভেঙে দেওয়া হয় টেলিভিশন, টেবিল, শ’খানেক চেয়ার, আসবাবপত্র। ছিঁড়ে ফেলা হয় দলীয় পতাকা। মারধর করা হয় সেখানে থাকা কয়েক জন বিজেপি সমর্থককে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দলের ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘বিজেপির নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। ওরা নিজেরাই নিজেদের দলীয় অফিস ভাঙচুর করে তৃণমূলের নামে দোষ চাপাছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অন্য দিকে, নির্বাচনী প্রচার ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল সাঁইথিয়ার বোলসুণ্ডা কলোনিতে। অভিযোগ, দু’পক্ষের ৭ জন আহত হন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ বিজেপির বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডলের সমর্থনে পথসভা ছিল সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বোলসুণ্ডা কলোনিতে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, সেই পথসভা বানচাল করতে তৃণমূল কর্মীরা সভার আশপাশে চারটি টোটোয় মাইক বাজিয়ে দলীয় প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে প্রচার করতে শুরু করেন। তা অগ্রাহ্য করেই বিজেপির সভা চলতে থাকে। অভিযোগ, আচমকা ওই তৃণমূল কর্মীরা লাঠি নিয়ে বিজেপির সভাস্থলে হামলা চালান। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এক মহিলা সহ পাঁচ জন আহত হন। দু’জনকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়৷