ভোটারদের সাহস জুগিয়ে বুথে আনাই কাজ: বিবেক 

পুলিশ আইনের ২৩ ধারায় বলা রয়েছে, প্রত্যেক পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হল উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের থেকে পাওয়া সমন বা নির্দেশ কার্যকর করা।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

তাঁর কাজ বাংলার ভোটারদের ‘সাহসী’ করে তোলা। যাতে ভোটের দিন তাঁরা নির্ভয়ে বুথে এসে ভোট দিতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এ কথাই জানালেন বিবেক দুবে। ১৯৮১ ব্যাচের অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার আজ-কালের মধ্যেই রাজ্যে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

শুক্রবার তিনি আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য অবাধ ভোট করানো। অতীতে বাংলা থেকে যে সব অভিযোগ উঠেছে, আসন্ন লোকসভা ভোটে সে সব যেন না ওঠে তার ব্যবস্থা করা। আমার কাজ সেটাই করে দেখানো। ভোটারদের মধ্যে ভয় থাকলে তা কাটিয়ে ভোটের দিন বুথে আনার ব্যবস্থা করব।’’

তাঁর লক্ষ্যপূরণে পুলিশের ভূমিকাই যে মুখ্য সে কথা জানিয়ে বিবেক বলেন, ‘‘পুলিশের কাজ তো বেশি কিছু নয়। অপরাধী ধরা আর আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এই দু’টি কাজ করলেই হবে। আর সেই কাজ করতে গিয়ে ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের ২৩ ধারাটা স্মরণে রাখলেই হল।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুলিশ আইনের ২৩ ধারায় বলা রয়েছে, প্রত্যেক পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হল উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের থেকে পাওয়া সমন বা নির্দেশ কার্যকর করা। যে কোনও ধরনের গোলমালের আশঙ্কার রয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা আর অপরাধীদের গ্রেফতার করা।

বিবেক দুবেকে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি রাজ্যের জন্য ২৪ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। এ ছাড়া, বিহারে ২০ ও উত্তরপ্রদেশে ৪০ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এই তিন রাজ্যেই সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে। মূলত বিপুল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কী হবে? বিবেকের জবাব,‘‘ওটা ছোট্ট ব্যাপার। ঠিক করে নিতে সমস্যা হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement