—ফাইল চিত্র।
জয় নিশ্চিত করতে কোনও কোনও কেন্দ্রে তিন বা চারটি সভাও করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের জেলা নেতাদের কাছে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। বুধবার মমতা নিজেই জানিয়েছেন, এবার ১০০ সভা করবেন তিনি।
রাজ্যে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রচার শুরু করবেন কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার থেকে। তার আগে রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এবারের নির্বাচনী প্রচারে যাবেন তিনি। ওই দিন তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুর এই সভায় অরবিন্দ কেরজরিবাল, দেবেগৌড়ার থাকার কথা রয়েছে। সেই সভা সেরে মমতা পরদিন কলকাতায় ফিরবেন।
রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ৪২টি জয়ের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তাই প্রত্যেক আসনের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেই সাজছে তাঁর প্রচারসূচি। দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘‘কোথাও দুটি কেন্দ্র নিয়ে একটি বা দুটি সভা করবেন নেত্রী। আবার কোথাও কেন্দ্রপিছু আরও বেশি সভা করতে হতে পারে তাঁকে।’’ আগামী ৩ এপ্রিল শিলিগুড়িতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরের চারটি কেন্দ্র নজরে রেখেই এই কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। তার ঠিক পরই উত্তরবঙ্গে পা রাখবেন মমতা। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের সভা থেকেই রাজ্যে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করবেন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আগামী ৫ তারিখ থেকে সেই প্রচারে নেমে পড়ছেন তিনি। ওই দিন অসমের ধুবুড়িতে জনসভা করবেন মমতা। অসমে তাঁর এই কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, এনআরসি’র প্রতিবাদে অসমে দল যে আন্দোলন করেছিল তাতে নির্বাচনে বিশেষ প্রত্যাশা রয়েছে তৃণমূলের। সেই সূত্রেই এবার রাজ্যের বাইরে অসমেই সব থেকে বেশি, ৯ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা। ধুবুড়ির বর্তমান সাংসদ তথা এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী নুরুল ইসলাম চৌধুরি। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে এই সভা করবেন মমতা। অসম প্রদেশ তৃণমূলের প্রধান গোপীনাথ দাস জানান, মমতার এই সভায় থাকবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব।