সাধারণ: প্রথম দিনের প্রচারে চললেন রানাঘাট কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রমা বিশ্বাস। ভিড় ঠেলে উঠলেন, তবে বসার জায়গা পেলেন। শনিবার কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
সকালে কৃষ্ণনগরের বাড়ি থেকে আলু-পেঁপের তরকারি দিয়ে গরম ভাত খেয়ে গলি পেরিয়ে স্টেশনে যাওয়ার টোটোয় উঠেছিলেন তিনি। কৃষ্ণনগর স্টেশনে পৌঁছে টিকিট কাউন্টারের সামনে বসে কিছুক্ষণ মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি। দলের দু’এক জন মহিলা এসে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
শনিবার হলেও দুপুর ১২টা ৭-এর ডাউন ট্রেনে ভীষণ ভিড় ছিল। ভিড়ের মধ্যে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, পরিচিত দু’এক জন সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসে চুকটাক কথা বলছেন। ভোটে দাঁড়ানোর জন্য শুভেচ্ছা ও জানাচ্ছেন। ট্রেন এল। মহিলা কামরায় উঠে বসার একটা জায়গাও পেয়ে গেলেন তিনি। ট্রেন চলল রানাঘাটের দিকে। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম দিনের প্রচারের জন্য রওনা হয়ে গেলেন সিপিএম প্রার্থী রমা বিশ্বাস।
প্রথম দিনের প্রচারের অন্যতম লক্ষ্য ছিল চাকদহ। দুপুরে রানাঘাট আদালত চত্বরেও সামান্য সময়ের জন্য প্রার্থী-পরিচিতি পর্ব সেরেছেন। সঙ্গে ছিলেন সিপিএম নেতা দেবাশিস চক্রবর্তী, আরএসপি নেতা সুবীর ভৌমিক, প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক অলককুমার দাসেরা। বিকাল ৫টা নাগাদ চলে আসেন চাকদহের দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করেন। তার পরে রাস্তায় নামা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তখন সন্ধ্যা নেমেছে। ৬টা বাজে।
পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে এস পি মুখার্জি রোডের দিকে রওনা দিলেন রমা। পথে একটি দোকান থেকে ডেকে সুভাষ রায় নামে এক দলীয় কর্মী বললেন, “দিদি, চিনতে পারছেন?” ডাক শুনে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি। একগাল হেসে বললেন, ‘তোকে চিনব না!’ রাস্তায় ব্যানার আর পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু মহিলা-কর্মীও ছিলেন। রাস্তায় তাঁকে সংবর্ধনা জানান সিপিএমের চাকদহ এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বর্ণেন্দু দত্ত। তার পর এস পি মুখার্জি রোড, নেতাজি সুভাষ রোড, লেনিন মোড় হয়ে বাঁ দিকে ৫০ নম্বর রেলগেট পার হয়ে চলে যান চাকদহ শহরের পূর্ব পারে বাসস্ট্যান্ডে। রাস্তার দু’ধারে ব্যবসায়ী, পথচলতি মানুষ যাকেই দেখেছেন, হেসে হাত জোড় করে নমস্কার জানিয়েছেন। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বাসস্ট্যান্ডে মিছিল শেষ হয়।
চাকদহ পার্টি অফিসে বসে রমা বলেন, “আমরাই জিতব। তাই লড়াই করতে নেমেছি। আমাদের চোখে বিজেপি ও তৃণমূল আলাদা কিছু নয়।” তাঁর দাবি, “গত পাঁচ বছরে আমাদের দলের দু’জন সদস্য লোকসভায় যা কথা বলেছেন, তৃণমূলের ৩৬ জন সদস্য সেই কথা বলেনি। এত দিন পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বিধানসভা পর্যন্ত আমি মানুষের জন্য কাজ করে এসেছি। এ বার বড় সুযোগ চাই।”