মৃণাল বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র
গত বিধানসভা উপনির্বাচনে মাত্র ১৩ দিন প্রচারের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তাতেই তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন সিপিএমের এই উঠতি মুখ। শেষে সত্যজিৎ বিশ্বাসের কাছে প্রায় ৪২ হাজার ভোটে হারলেও সিপিএমের অনেকেই মনে করেন, ঠিক মতো সময় পেলে ভোটের ফল অন্য রকম হতে পারত।
হাঁসখালির বগুলার বাসিন্দা সেই মৃণাল বিশ্বাসকেই কৃষ্ণগঞ্জ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে সিপিএম। সত্যজিৎ খুন হওয়ায় ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। তাতে সিপিএমের বাজি বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজে ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়ে উঠে আসা, জেলায় এসএফআইয়ের অন্যতম মুখ মৃণাল। এক সময়ে এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক ও জেলা সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও হন। ছিলেন ডিওয়াইএফ-এর জেলা সভাপতি। পরে সিপিএমের বগুলা এরিয়া কমিটির সম্পাদক হন। বর্তমানে জেলা কমিটির সদস্য।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মৃণালের টিকিট প্রাপ্তি হয়েছিল আচমকাই। জোটের সমীকরণে এই কেন্দ্রটি ছিল কংগ্রেসের ভাগে। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে কংগ্রেসের টালবাহানা, একাধিক বার প্রার্থী বদলের জেরে শেষ পর্যন্ত একেবারে শেষ মুহূর্তে বামফ্রন্ট এই আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শুধু যে সময় কম পেয়েছিলেন তা-ই নয়, বেতনা এলাকায় প্রচারের সময়ে আক্রান্তও হন তিনি। অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের দিকে। তিন দিন তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। মৃণাল বলেন, “এ বারও কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইটা আমাদেরই হবে। অন্য কারও নয়। আর সেটা হবে কঠিন লড়াই।”