—ফাইল চিত্র।
কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে ১১ এপ্রিল নির্বাচন হবে। ওই দুই কেন্দ্রে ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। তবে ‘ক্রিটিক্যাল’ বা স্পর্শকাতর বুথ, কুইক রেসপন্স টিম এবং স্ট্রংরুম ছাড়া অন্যও কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের সম্ভাবনা কার্যত নেই। ৮ এপ্রিলের মধ্যে ওই দুই জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এখনও পর্যন্ত সেই রকমই পরিকল্পনা কমিশনের।
১১ এপ্রিল কোচবিহারের ১৬৬৮ ‘পোলিং প্রেমিসেস’-এ ২২৬২টি বুথে ভোট হবে। আলিপুরদুয়ারে ১০৬৪টি পোলিং প্রেমিসেসে রয়েছে ১২৭৪টি বুথ। জলপাইগুড়ির একটি অংশ আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেখানে ২৪৪টি পোলিং প্রেমিসেসে ৩০৫টি বুথে ভোট হবে। সব মিলিয়ে ভোট হবে ৩৮৪১টি বুথে। সেখানে ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে। ১০ কোম্পানি রাজ্যে এসে গিয়েছে। বাকি ৩০ কোম্পানির মধ্যে বেশির ভাগই জঙ্গলমহলে মোতায়েন আধাসেনা থেকে নিতে চায় কমিশন। তবে জঙ্গলমহল থেকে বাহিনী না-সরানোর আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে-ক্ষেত্রে অন্য জায়গা কিছু বাহিনী আনা হবে কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। আলোচনা চলছে।
প্রথম দফায় একটি ‘ক্রিটিক্যাল পোলিং প্রেমিসেস’-এর বুথে হাফ সেকশন অর্থাৎ তিন বা চার জন আধাসেনা থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন এক জন লাঠিধারী কনস্টেবল। দু’টি বুথের পোলিং প্রেমিসেসে তিন বা চার জন আধাসেনা ছাড়াও থাকবেন দু’জন লাঠিধারী কনস্টেবল। স্ট্রংরুমে তিন সেকশন বা ১৮-২৪ জন আধাসেনা থাকার কথা। সঙ্গে তিন জন এসআই বা এএসআই। থাকবেন এক জন ইনস্পেক্টরও। কুইক রেসপন্স টিমে এক জন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে এক সেকশন অর্থাৎ ছয় বা আট জন আধাসেনা থাকবেন। একটি সেকশনে ছয় বা আট জন জওয়ান থাকেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিন্তু যে-পোলিং প্রেমিসেসে তিন, চার বা পাঁচটি বুথ রয়েছে, সেখানে আধাসেনা না-রাখারই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ধরনের প্রেমিসেসে প্রতিটি বুথে রাজ্যের দু’জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। মোট সংখ্যাটা ছয়, আট বা ১০ হতে পারে। ক্রিটিক্যাল নয়, এমন পোলিং প্রেমিসেসে একটি বুথে দু’জন এবং দু’টি বুথ হলে চার জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবে।
কিন্তু দুইয়ের বেশি বুথযুক্ত পোলিং প্রেমিসেসে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না কেন? সংশ্লিষ্ট মহলের একটি অংশের মত, দুইয়ের বেশি বুথযুক্ত পোলিং প্রেমিসেসে বুথ-ভিত্তিক প্রহরা অনেক বেশি থাকে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী না-থাকলেও সেখানে নিরাপত্তায় ঘাটতি হয় না। সেখানে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি থাকায় প্রতিরোধের মধ্যে পড়তে হয় গোলমালকারীদের। সেই জন্যই এ ভাবে বিন্যাস করা হচ্ছে। ওই মহলের অন্য একটি অংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া কার্যত সম্ভব হয় না। কারণ, ভোট তো সারা দেশেই।