বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গত বছরই তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। তার পর থেকে বিরোধী দল বিজেপি ছেড়ে আবার শাসক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার উল্টো স্রোতও শুরু হয়েছে। কিন্তু এ সব সত্ত্বেও তৃণমূলের সরকার পাঁচ বছর মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারবে না বলে দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি ফের দাবি করলেন, আগামী ২০২৪ সালে দেশের লোকসভা ভোটের সঙ্গেই এ রাজ্যে আবার বিধানসভা ভোট হবে। তৃণমূল অবশ্য এমন দাবি উড়িয়ে বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করেছে।
বাঁকুড়ার সোনামুখীতে শুক্রবার বিজেপির ‘সঙ্কল্প যাত্রা’য় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে শুভেন্দু ফের বলেছেন, ‘‘২০২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, ২০২৪-এই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে।’’ বিরোধী দলনেতা এর আগেই দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের সরকার রাজ্য চালাতে গিয়ে ‘আর্থিক বিশৃঙ্খলা’ ডেকে এনেছে। আইনশৃঙ্খলার হালও শোচনীয়। মূলত, রাজ্যের কোষাগারের বেহাল দশার জন্যই এই সরকার চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। অসহায় অবস্থায় শাসক দলকে হাল ছেড়ে দিতে হবে এবং তখন বিধানসভা নির্বাচনও এগিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, বাম জমানায় ১৯৯১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে করা হয়েছিল। সেই সময় রাজ্য সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদ ধরলে বিধানসভা ভোটের আরও এক বছর বাকি ছিল।
শুভেন্দুর দাবির প্রেক্ষিতে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি ছেড়ে দলে দলে সব বেরিয়ে যাচ্ছে। দিল্লির কাছে রাজ্যের নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে। এই অবস্থায় মুখরক্ষায় এই রকম গাজর ঝুলিয়ে দল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন! নিজেও জানেন, ও সব হবে না!’’
বিরোধী দলনেতা এ দিন অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা যখন প্রকাশ্যে আসছে, তখন অন্য দিকে নজর ঘোরানোর নানা রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যখন এই রাজ্যের বড় মন্ত্রী রগড়ানি খাচ্ছেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার জন্য হাওয়া হয়ে যাচ্ছেন, তখন অর্জুন সিংহের নামে তিন দিন ধরে ‘টক শো’ হচ্ছে। কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদলের কথা বলে প্রসঙ্গ ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’ কেন্দ্রের তথ্যমিত্র কেন্দ্রগুলিকে বন্ধ করে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ করে এক হাজার ক্যাডার তৈরি করা হয়েছে, মিড-ডে মিলের সুপারভাইজ়ার নিয়োগেও কারচুপি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।