বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে বারাসত চাঁপাডালি মোড় দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, ওই মোড়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা বাইক আরোহীদের উপর অন্যায় জুলুম চালাচ্ছেন। অন্যায় ভাবে টাকা দাবি করছেন। দীর্ঘক্ষণের অবরোধে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় যশোহর রোডে। যানচলাচল ব্যাহত হয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। পদস্থ পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যায়। রঞ্জিত দাস নামে এক বাইক আরোহী অভিযোগ করেন, চাঁপাডালি মোড়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁকে আটকে ১ হাজার টাকা দাবি করেন। অভিযোগ, তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর করেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার।
রঞ্জিত আশোকনগরের বাসিন্দা। তিনি ব্যাবসার কাজে প্রতি সপ্তাহেই বেশ কয়েক দিন অশোকনগর থেকে কলকাতায় যাতায়াত করেন। তাঁর অভিযোগ, হেলমেট থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সমস্ত থাকা সত্বেও তাঁকে আটকে টাকা চান দুর্লভ দাস নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর অভিযোগ, এটা প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও বেশ কয়েক বার সিভিক ভলান্টিয়াররা ওই মোড়ে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে বাড়ছে মেট্রোও, অফিস টাইমে ৭ মিনিট অন্তর চলবে
আরও পড়ুন: চিন্তা ভিড় নিয়েই, ৪৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রেলের
রঞ্জিত এ দিন সন্ধ্যায় সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ার পরই ভিড় জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ রঞ্জিতের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। তাঁরাও অভিযোগ করেন, তাঁদের কাছেও সিভিক ভলান্টিয়াররা টাকা চান, জুলুম করেন। ক্রমে ভিড় বাড়তে থাকে এবং তাঁরা চাঁপাডালির মোড় অবরোধ করেন।
অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ইনসপেক্টর। তিনি অবরোধকারীদের গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ তোলেন বাসিন্দারা।