Digha

ষাঁড় অপহৃত! টানা দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ দিঘাগামী জাতীয় সড়ক

ঘটনার সূত্রপাত একটি ষাঁড় চুরিকে কেন্দ্র করে। জাতীয় সড়কের ধারেই বাড়ি রমাকান্ত প্রধানের। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের এই এলাকায় প্রায় ১০ বছর ধরে একটি প্রকাণ্ড ষাঁড় আছে। সেই ষাঁড়টিকেই কেউ চুরি করেছে। তার প্রতিবাদেই এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করেছিলেন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:০৯
Share:

ষাঁড় চুরির খবর চাউর হতেই, প্রায় শ’দুয়েক মানুষ দিঘাগামী জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। নিজস্ব চিত্র।

দায়ে পড়লে গরুও খুঁজতে হয় পুলিশকে! গরু নয়, থুড়ি, ষাঁড়।

Advertisement

খোদ মহাদেবের বাহনকেই অপহরণ! আর সেই অভিযোগ ঘিরেই তুলকালাম। ঝাড়া দু’ঘণ্টা বন্ধ রইল দিঘাগামী জাতীয় সড়ক। সার সার গাড়ির লাইন। পর্যটক বোঝাই বাস থেকে গাড়ি— আটকে পড়ল রাস্তায়। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটুয়াতে।

ঘটনার সূত্রপাত একটি ষাঁড় চুরিকে কেন্দ্র করে। জাতীয় সড়কের ধারেই বাড়ি রমাকান্ত প্রধানের। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের এই এলাকায় প্রায় ১০ বছর ধরে একটি প্রকাণ্ড ষাঁড় আছে। সেই ষাঁড়টিকেই কেউ চুরি করেছে। তার প্রতিবাদেই এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করেছিলেন।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ঊর্মিমালাকে কদর্য আক্রমণ সোশ্যাল মিডিয়ায়, সরব বিদ্বজ্জনেরাও

এলাকার বাসিন্দারা জানান, এ মাসের ১৮ তারিখ সকালে দিঘাগামী একটি গাড়ি ধাক্কা মারে ষাঁড়টিকে। গাড়ির ধাক্কায় পা ভাঙে তার। গুরুতর আহত হয় প্রায় ৪ কুইন্টাল ওজনের পেল্লায় বৃষপ্রবর। সকলের পেয়ারের ভোলা-র ওই হাল দেখে ঠিক থাকতে পারেননি এলাকার মানুষজন। রমাকান্তবাবু বলেন, ‘‘এলাকার ব্যাবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে পশু চিকিৎসক ডেকে আনেন। তিনি চিকিৎসা শুরু করে আমাদের বলেন, ভোলাকে কোনও ছাউনির তলায় রাখতে হবে যাতে ক্ষতস্থানে জল না লাগে।” এর পরই রমাকান্তবাবুর বাড়ির সামনেই এলাকার মানুষ ত্রিপল দিয়ে ভোলার ছাউনির ব্যাবস্থা করেন। সেখানে রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল। এলাকার মানুষের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে সবাই লক্ষ্য করেন যে ওই ছাউনিতে ভোলা নেই।

আরও পড়ুন: ‘দয়ালু’ মমতার প্রশংসায় রাজ্যপাল

রমাকান্তবাবু বলেন, ‘রাত আড়াইটে নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তখনও ষাঁড়টি ওখানেই ছিল।’ অর্থাৎ ভোররাতেই ষাঁড়টিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় একটি চক্র সক্রিয়। যারা ষাঁড় এবং গবাদি পশু চুরি করে। রমাকান্তবাবু বলেন, ‘‘এর আগেও আশে পাশের কয়েকটি গ্রামে ষাঁড় চুরির চেষ্টা হয়েছিল। স্থানীয়রা তাড়া করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।”

আরও পড়ুন: নথি না থাকলে পুলিশে ডায়েরি করুন: মমতা

ষাঁড় চুরির খবর চাউর হতেই, প্রায় শ’দুয়েক মানুষ দিঘাগামী জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। প্রথমে পুলিশ সেই অবরোধ তুলতে গেলে, গ্রামবাসীদের মারমুখী মেজাজ দেখে সরে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে আসেন কাঁথি থানার আইসি নিজে। গ্রামবাসীরা দাবি জানান অবিলম্বে ‘অপহৃত’ ষাঁড়কে খুঁজে দিতে হবে। গ্রেফতার করতে হবে দুষ্কৃতীদের। আইসি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই দু’ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধ তোলা হয়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পুলিশ আর রাস্তায় আটকে পড়া পর্যটকরা। কিন্তু গ্রামবাসীরা অবরোধ তোলার সময় হুঁসিয়ারি দিয়েছেন— ষাঁড় উদ্ধার না হলে আরও বড় আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। অগত্যা, মান বাঁচাতে পুলিশ এখন ষাঁড় খোঁজাতেই ব্যস্ত!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement