Padma Awards 2023

পদ্মসম্মান ওআরএসের প্রয়াত উদ্ভাবক দিলীপ মহলানবিশকে, তালিকায় আরও চার বাঙালি

চলতি বছর পদ্মসম্মান পেয়েছেন আরও চার বাঙালি— সূচিশিল্পী প্রীতিকণা গোস্বামী, প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী মঙ্গলকান্তি রায়, ভাষা গবেষক ধনীরাম টোটো এবং চিকিৎসক রতনচন্দ্র কর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪৯
Share:

দিলীপ মহলানবিশ, মঙ্গলকান্তি রায় এবং ধনীরাম টোটো। ছবি: সংগৃহীত।

কলেরা কিংবা ডায়েরিয়া রোগে ওআরএসের বহুল প্রয়োগের সূচনা যাঁর হাত ধরে, সেই প্রয়াত বাঙালি চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ ২০২৩ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা পদ্ম বিভূষণের জন্য মনোনীত হলেন। এ ছাড়া চলতি বছর পদ্মসম্মান পেয়েছেন আরও চার বাঙালি— সূচিশিল্পী প্রীতিকণা গোস্বামী, প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী মঙ্গলকান্তি রায়, ভাষা গবেষক ধনীরাম টোটো এবং চিকিৎসক রতনচন্দ্র কর। এঁদের মধ্যে রতনচন্দ্র আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা। চার জনেই পদ্মশ্রী পেয়েছেন।

Advertisement

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বনগাঁ সীমান্তে কলেরায় আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষকে বাঁচানোর নেপথ্যে মূল ভূমিকা ছিল মহলানবিশের। বস্তুত, তাঁর উপস্থিত বুদ্ধিতেই স্যালাইন সূচের মাধ্যমে ধমনীতে প্রবেশ করানোর বদলে পানীয়ের সাহায্যে খাওয়ানো শুরু হয়। নুন-চিনি-বেকিং সোডার জল দিয়ে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন দিলীপ, অথচ তখনও ওআরএসের প্রয়োগে স্বীকৃতিই দেয়নি বিশ্ব চিকিৎসার নিয়ামক সংস্থা (হু)। ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেছিলেন চিকিৎসক। পরে তাঁর হাত ধরেই স্বীকৃতি পায় ওআরএস। গত অক্টোবরে কলকাতায় প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি।

পদ্মশ্রীর তালিকায় রয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার দু’জন। এঁদের মধ্যে ১০২ বছর বয়সী মঙ্গলকান্তি প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র সারিন্দা বাদক। সারিন্দায় পাখির ডাক বাজাতে পারেন তিনি। অন্য দিকে, ধনীরামের খ্যাতি উত্তরবঙ্গের বিপন্ন জনজাতি টোটোদের ভাষার লিপির উদ্ভাবক হিসাবে। বস্তুত, তাঁর হাত ধরেই পুনর্জন্ম হয়েছে টোটো ভাষার। ওই লিপিতে দু’টি উপন্যাস, ‘ধানুয়া টোটোর কথামালা’ এবং ‘ডুমরা থিরতে’ লিখেছেন তিনি।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সূচিশিল্পী প্রীতিকণার কাঁথা স্টিচের কাজের খ্যাতি রয়েছে বাংলার সীমানা ছড়িয়ে। একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, ৬৬ বছরের চিকিৎসক রতনচন্দ্র তাঁর জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় ব্যয় করেছেন জারোয়া, ওঙ্গি, গ্রেট আন্দামানিজদের মতো জনজাতির মানুষের চিকিৎসায়। সরকারি চাকরি অবসরের পরেও সে কাজে ছেদ পড়েনি। তাঁরই নিরলস চেষ্টায় ভয়াবহ গুটি বসন্ত রোগে বিলুপ্তি থেকে রেহাই পেয়েছিল জারোয়া জনগোষ্ঠী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement