অধীর চৌধুরী।
ইয়াস ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সাংসদ তহবিলের টাকা করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করার আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন তিনি। চিঠিতে অধীর লিখেছেন, সাংসদ তহবিলের টাকা যা গত দুই বছর ধরে আটকে রয়েছে সেগুলি অবিলম্বে ছাড়া হোক। যাতে এই ভয়াবহ সময় জনগনের প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যায়। তাই এবিষয়ে শীঘ্রই অনুমোদন দেওয়া। তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘করোনা মহামারীর এই দুর্দশাগ্রস্ত সময়ে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ইয়াস নামক তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে। যার ফলে আগামী দিনগুলিতে এইসব রাজ্যে করোনা সংক্রমণ আরও দ্রুত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নষ্ট হতে পারে। আগামী দিনের সেই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করা হোক। আর সেই অর্থে দ্রুত করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার অনুমতি দিন স্পিকার। কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহত যেমন পিপিই কিট, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটরে সহ গ্লাভস, মাস্ক ও অক্সিমিটারের জোগান বাড়ানোর জন্য সাংসদ তহবিলের আটকে থাকা অর্থ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি।
বহরমপুরের পাঁচবারের সাংসদ লিখেছেন, ‘‘এমন সঙ্কটজনক ও বিপর্যয়ের মুহূর্তে সাধারণ মানুষের সাহায্যে সাংসদ তহবিলের অর্থ মুক্তির ক্ষেত্রে কোনওরকম বিধিনিষেধ যেন না থাকে। কোনওরকম বাধাছাড়াই যাতে সাংসদরা এই অর্থ ব্যবহার করার অনুমতি পান, সেই বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে জারি হয় লকডাউন। তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদদের সাংসদ তহবিলের অর্থ খরচ করার ওপর দু’বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু দেশ কথা রাজ্যের এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা বিষয়টি পুর্নবিবেচনার আবেদন জানিয়ে, স্পিকারের কাছে সাংসদ তহবিলের অর্থ খরচ করার অধিকার ফেরৎ চেয়েছেন।