ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ডিওয়াইএফআইয়ের ‘ইনসাফ যাত্রা’। শামিল অভিনেতা চন্দন সেনও। —নিজস্ব চিত্র।
শাসক দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব এবং মাঝেমধ্যেই খুনোখুনির জেরে ইদানিং চর্চায় থাকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। শিল্প ও কাজের দাবিতে ডিওয়াইএফআইয়ের ‘ইনসাফ যাত্রা’কে কেন্দ্র করে সেই এলাকাতেই সাংগঠনিক তৎপরতা দেখানোর সুযোগ পেল বামেরা। কাঁচরাপাড়া থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের রাস্তায় সিপিএমের যুব সংগঠনের পদযাত্রা ঘিরে উদ্দীপনা বাম নেতৃত্বের উৎসাহ বাড়িয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে এ দিন পদযাত্রার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল সিপিএম ও অন্যান্য বাম দলের একাধিক সংগঠনও।
নদিয়া হয়ে ডিওয়াইএফআইয়ের ‘ইনসাফ যাত্রা’ ৪৬ তম দিনে প্রবেশ করেছে উত্তর ২৪ পরগনায়। কাঁচরাপাড়া থেকে সোমবার শুরু হওয়া পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন অভিনেতা ও নাট্য-ব্যক্তিত্ব চন্দন সেনও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে যুবক-যুবতীরা যাতে কাজ পান, যাতে তাঁদের বাইরে যেতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই ৪৬ দিন ধরে এঁরা হাঁটছেন। কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়, দল-মত নির্বিশেষে সব মানুষের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনাদের পরিবারের কথা ভেবে আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে আসুন।’’ ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহার পাশাপাশি এ দিন পদযাত্রায় ছিলেন সিপিএমের পলাশ দাস, গার্গী চট্টোপাধ্যায়, সায়নদীপ মিত্রেরা। পদযাত্রার রাস্তায় নৈহাটি, আতপুর নিমতলা, শ্যামনগর পোস্ট অফিস মোড়-সহ একাধিক জায়গায় সংবর্ধনার পরে পথসভা করেছেন মীনাক্ষীরা।
রাতে ব্যারাকপুর স্টেশন চত্বরে সমাবেশে মীনাক্ষীর বক্তব্য, ‘‘এই রাজ্যে যুবকদের কাজ নেই। কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে চলে যেতে হচ্ছে। চুরি ও দুর্নীতি এই রাজ্যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আর কেন্দ্রের শাসক দল মন্দির নিয়ে হইচই করতে ব্যস্ত। বিভাজনের রাজনীতি চলছে। এই দুই শক্তির বিরুদ্ধেই যুবদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’’ শিল্পাঞ্চলে দু’দফায় এ দিনের ৩০ কিলোমিটার পদযাত্রা শেষ হয়েছে ব্যারাকপুরেই। সেখান থেকে শুরু হয়ে আজ, মঙ্গলবার প্রথমে বেলঘরিয়া এবং তার পরে বিরাটি হয়ে বারাসতের দিকে যাবে ‘ইনসাফ যাত্রা’। দ্বিতীয়ার্ধে পদযাত্রায় শামিল হওয়ার কথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও।