সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে বামফ্রন্টকে প্রার্থী না-দিতে অনুরোধ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে ‘মসৃণ’ জোট গড়ে ভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। সেই চিত্র ধরা পড়ল পশ্চিমবঙ্গেও। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল সিপিএম। রবিবার বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে চিঠি লিখে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান বিমান বসু।
সোমবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে কংগ্রেস জানিয়েছে, সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে বামফ্রন্টকে প্রার্থী না-দিতে অনুরোধ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাতে সাড়া দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে সমর্থন করছে বামফ্রন্ট। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর প্রয়াত হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহা। নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন ঘোষণা করে। মঙ্গলবার মনোনয়নের শেষ দিন। তার আগেই বামেরা কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন জানাল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বামেরা এই আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। সে বার ৩৬ হাজারের বেশি ভোট পেলেও তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল কংগ্রেস।
এই উপনির্বাচনে তৃণমূলে প্রার্থী হয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ সাহা। আর বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হলেন বায়রন। যিনি আবার প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রতের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন। ২ মার্চ ফলাফল ঘোষণা।