বিক্ষোভ: সল্টলেকে এসএসসি ভবনে বাম ছাত্র-যুবরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: শৌভিক দে।
শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে। দেড় বছর আগে বেরিয়েছে তার ফল। কিন্তু মেধা-তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। ওই তালিকা প্রকাশ এবং অন্য ছ’দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পরীক্ষার্থীরা। অবস্থা-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ এবং ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টো নাগাদ করুণাময়ী মোড়ে সিপিএমের যুব ও ছাত্র সংগঠনের আহ্বানে প্রচুর পরীক্ষার্থী জড়ো হন। ওই জমায়েতের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলায় তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। তার পরে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে এসএসসি ভবন পর্যন্ত যান। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড থাকলেও তা সরিয়ে দিয়ে অফিসের মূল ফটকের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
বিক্ষোভ-অবস্থানের মধ্যেই কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। নেতারা জানান, তাঁদের কিছু দাবি কমিশন-কর্তৃপক্ষ মৌখিক ভাবে মেনে নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এসএসসি-র চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং এসএসসি-র চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য দেখা করার সময় দিয়েছেন।
২০১৫-র অগস্টে উচ্চ প্রাথমিক (পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি) স্তরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ‘টেট’ নেওয়া হয়। ফল বেরোয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। নিয়োগের জন্য আবেদনও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সেখানেই থমকে যায় গোটা প্রক্রিয়া।
কমিশন-প্রধান সুবীরেশবাবু জানান, মোট শূন্য পদের ১০ শতাংশ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু শিক্ষামিত্র, শিক্ষাবন্ধুরা ওই সংরক্ষণের আওতায় আসতে চেয়ে মামলা করেন। আদালত স্থগিতাদেশ দেওয়ার মেধা-তালিকা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও মামলার জট রয়েছে বলে জানান তিনি।
ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভের মধ্যেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি, চুক্তিভিত্তিক এবং আংশিক সময়ের শিক্ষকদের চাকরির নির্দিষ্ট শর্তাবলি এবং বেতনক্রমের দাবিতে ওয়েবকুটা-র নেতৃত্বে কয়েকশো শিক্ষক মিছিল করে বিকাশ ভবনে যান। শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা।