রাজ্যপালের কাছে বাম যুব ও ছাত্র নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
নবান্ন অভিযানে পুলিশের ‘হামলা’র কথা জানাতে এ বার রাজ্যপালের দ্বারস্থে হল বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলি। দোষী পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন যুব নেতারা। রাজ্যপাল বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন বলে বাম যুব নেতাদের দাবি।
সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযানের দ্বিতীয় দিনে হাওড়ার মল্লিক ফটকে শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বাম যুব ও ছাত্রদের। ঘটনায় আহত হন বহু বাম যুব ও ছাত্র, আঘাত পান কিছু পুলিশ-কর্মীও। বামেদের অভিযোগ, আশেপাশের বাড়ির ছাদ থেকে মিছিলের উপরে ইট বর্ষণ করা হয়েছিল। মিছিল ব্যারিকেডের কাছে আসতেই জল-কামান, লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস চালায় পুলিশ। আবার পুলিশের পাল্টা দাবি, মিছিল থেকে তাদের দিকে ইট ও বোতল ছোঁড়া হয়েছিল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে রবিবার বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা জানান, অভিযানের দিন ধৃত ২২ জনকে খুন ছাড়া সব অভিযোগে ‘ফাঁসানো’ হয়েছে। চুরির মামলাও দেওয়া হয়েছে! ঘটনার পর দিন শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক জনকে। জেল হাজতে রয়েছেন দুই ছাত্রীও। বাম নেতাদের অভিযোগ, পুরুষ পুলিশ দিয়ে যুব ও ছাত্র সংগঠনের মহিলাদের উপরে হামলা হয়েছে। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেছেন, মহিলা আন্দোলনকারীদের কী ভাবে সামলাতে হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট রূপরেখা আছে।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বলেন, ‘‘দাবি-দাওয়া লড়াই করেই আদায় করতে হয়। দাবি নিয়ে যাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রাজ্যপালকে পুলিশের আচরণের কথা জানিয়ে বিহিত চেয়েছি।’’ ঘটনার দিন হাতজোড় করে অনুরোধ সত্ত্বেও ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পুলিশের লাঠির আঘাতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ছেন, এই ছবি এ দিনই প্রকাশ্যে এনেছে সিপিএম। রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় অবশ্য বলেন, ‘‘রাজ্যপালের কাছে ওঁরা যেতেই পারেন। তবে নিজেরা যে পুলিশকে আক্রমণ করেছিলেন, সেটা বলেছেন তো?’’