—প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক ভাবে অনুমতি দিতে চায়নি পুলিশ। তবু খাদ্য আন্দোলনের ‘শহিদ স্মরণে’ ধর্মতলা চত্বরেই আজ, বৃহস্পতিবার সভা করতে চলেছে বামফ্রন্ট। এর পরে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে শহরের রাজপথে সমাবেশ করতে চলেছে সিপিএমের তিনটি গণ-সংগঠন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ড্স’কে ঘিরে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত কোন পথে এগোয়, তা দেখে নিয়ে পুজোর আগেই ইডি-সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশেরও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
খাদ্য আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০০৯ সালে ধর্মতলার চার মাথায় বড় সমাবেশ করেছিল বামফ্রন্ট। তখন অবশ্য রাজ্যে তাদেরই সরকার। এ বার খাদ্য আন্দোলনের ‘শহিদ স্মরণে’র পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘ভোট লুটে’র মতো বিযয়ের প্রতিবাদে ধর্মতলাতেই বামফ্রন্ট সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিশের তরফে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ বা ওয়াই চ্যানেলে সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা মানতে চাননি বাম নেতৃত্ব। পুলিশ প্রথমে আপত্তি তুললেও শেষ পর্যন্ত ধর্মতলা চত্বরে বুধবার সন্ধ্যায় সমাবেশের মঞ্চ তৈরি শুরু হয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু রাতে বলেছেন, ‘‘ধর্মতলার সংলগ্ন এলাকাতেই আমাদের সভা হবে।’’
যাদবপুরে মঙ্গলবার ছাত্র সমাবেশ থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ঘোষণা করেছিলেন, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় অভিষেককে গ্রেফতার করা না হলে তাঁরা ফের ইডি-সিবিআই দফতর ঘেরাও করবেন। সিপিএম সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে আলোচনা হয়েছে, বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের দায়িত্ব উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমকে দেওয়া হতে পারে। তবে তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। সেপ্টেম্বরেরই ৮, ১৯ ও ২৫ তারিখে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে যথাক্রমে দলের মহিলা, কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে তিনটি সমাবেশ হবে। এই পর্ব মিটে গেলে ইডি-সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে দলীয় সূত্রের বক্তব্য।