রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে বেরোচ্ছেন বাম বিধায়কেরা। মঙ্গলবার। ছবি: প্রদীপ আদক।
রাজ্যে শাসক দল লাগাতার বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশকেই বিপন্ন করে তুলছে বলে অভিযোগ করে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বাম বিধায়কেরা। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে মঙ্গলবার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ২৭ জন বিধায়ক বিবরণ দিয়েছেন, কী ভাবে জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পুরসভা পর্যন্ত একের পর এক নির্বাচিত সংস্থা বিরোধীদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ কেন, সাম্প্রতিক অতীতে দেশের কোনও রাজ্যেই এ ভাবে দল ভাঙানোর খেলা হয়নি!
রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুজনবাবুদের দাবি, রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। দলত্যাগী বিধায়কদের পদ কেন খারিজ হবে না, তা নিয়ে আজ, বুধবার তাঁরা বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গেও দেখা করবেন। তবে একই সঙ্গে সুজনবাবুর দাবি, ‘‘মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বামেরাই পারে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে।’’ জয়নগরের একটি পঞ্চায়েত সমিতি লোক ভাঙিয়ে দখল করা হয়ে গিয়েছে বলে এক মন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন! তার পরে সিপিএম সদস্যেরা একজোট হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, সমিতি তাঁদের হাতেই আছে।
তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের বাজারেও যে কয়েকটি জেলায় তাদের ফল আশাজনক হয়নি, সেখানেই বেশি দল ভাঙানো হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বাঁকুড়ায় যেমন বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সামিল হয়েছিলেন। সোনামুখী ও বড়জোড়ার দুই সিপিএম বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য নানা ভাবে তাঁদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে পুলিশের মাধ্যমে। সোনামুখীর সেই সিপিএম বিধায়ক অজিত রায়ের গ্রাম ইছারিয়ায় এ দিন প্রতিবাদ সভায় দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রশ্ন তুলেছেন, ২১১ জন বিধায়ক পেয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কীসের চিন্তা? তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যের ২ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষ ওঁদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তাতেই ভয়!’’