ধর্মতলায় বাম কৃষক সমাবেশের জমায়েত। —ফেসবুক।
কৃষকদের একগুচ্ছ দাবি দাওয়া নিয়ে ‘জঙ্গি’ মেজাজের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করল সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষকসভা। মঙ্গলবার ধর্মলতার সমাবেশ থেকে বাম কৃষক সংগঠনটির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব ঘোষণা করেন, নভেম্বরের ১৬ থেকে ২৬ তারিখ— তিন দিন ধরে সব রাজ্যের রাজভবন ঘেরাও করে রাখা হবে। ফসলের ন্যায্যমূল্য, সারে ভর্তুকি, বীজের দাম কমানো, ১০০ দিনের কাজের টাকা-সহ একাধিক দাবিতে এই আন্দোলনে নামছে তারা।
কৃষি আইন নিয়ে দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষকদের লাগাতার আন্দোলন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, সেই আন্দোলনের চাপে মোদী সরকারকে আইন প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছিল। সংযুক্ত কৃষক সভার ডাকেই সব রাজ্যে আন্দোলন হতে চলেছে। বাংলাতেও রাজভবন ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকদের নেতৃত্ব।
মঙ্গলবারের সমাবেশে ভাষণ দেন, হান্নান মোল্লা, অশোক ধাওয়ালে, বিজু কৃষ্ণন, বিপ্লব মজুমদার-সহ বাম কৃষক নেতারা। সভায় ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে অক্টোবরের গোড়ায় দিল্লিতে কর্মসূচি করতে চলেছে তৃণমূল। যদিও সেই কর্মসূচির অনুমতি পায়নি বাংলার শাসকদল। ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি ঘেরার ডাক দিয়েছিলেন। বাম কৃষক নেতাদের বক্তব্য, এক দিকে তৃণমূলের লুট, অন্য দিকে কেন্দ্রের মনোভাবের কারণেই বাংলার গ্রামীণ মানুষ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়েও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন বাম কৃষক নেতারা। কৃষকসভার দাবি, পাটচাষিদের কুইন্টাল প্রতি সাড়ে ৮ হাজার টাকা দাম দিতে হবে। না হলে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার দফতর ঘেরাও করে রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর একই জায়গায় পৃথক ভাবে বাম ক্ষেতমজুর সংগঠন সভা ডেকেছে।