সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।—ছবি পিটিআই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) কার্যকর করা হবে না, এই মর্মে প্রস্তাব পাশ হয়েছে কেরল বিধানসভায়। সেই আদলেই এই রাজ্যে পদক্ষেপ চেয়ে বিধানসভায় বেসরকারি প্রস্তাব আনতে চায় বিরোধী বাম ও কংগ্রেস।
তফসিলি জাতি ও জনজাতির জন্য সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় আইন পুনর্নবীকরণ করতে হবে বিধানসভাতেও। সেই কারণেই কাল, বৃহস্পতিবার বিশেষ সংক্ষিপ্ত অধিবেশন বসছে বিধানসভার। সেখানেই বিধানসভার কার্যবিধির ১৮৫ ধারায় আলোচনা চেয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় আইন রুটিনমাফিক পাশ করিয়ে নেওয়ার পরে ওই প্রস্তাব নিয়ে কাল আলোচনা হোক। শাসক পক্ষ যদি মনে করে সরকারি ভাবেই প্রস্তাব আনা হবে, তাতেও আপত্তি নেই বিরোধীদের।
রাজ্য বিধানসভায় এনআরসি-বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়েছিল গত ৬ সেপ্টেম্বর। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি, তাঁরা আগেই এনআরসি-বিরোধিতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাব নিয়ে রেখেছেন। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, তখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়নি। তাই ওই আইন এবং এনআরসি কার্যকর না করার কথা বিধানসভায় নথিভুক্ত করানো জরুরি।
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি মানবেন না। তা হলে আশা করব, বিধানসভায় এই আলোচনা ও প্রস্তাব গ্রহণ করতে আপত্তি করবেন না। সরকার পক্ষ যদি মনে করে নিজেরাই এই প্রস্তাব আনবে বা আমাদের প্রস্তাবের খসড়ায় কিছু রদবদল ঘটাবে, সেটাও করতে পারে।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘সেপ্টেম্বরে এনআরসি-বিরোধী প্রস্তাবের জন্য আমরাই চাপ দিয়েছিলাম। সরকার শেষ পর্যন্ত আমাদের কথা শুনে নিজেরা প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব পাশ করানোর পরেও দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এনআরসি বাংলায় এখন হচ্ছে না। বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলেন এনপিআর-এর জন্য। আন্দোলনের চাপে গত ১৬ ডিসেম্বর এনপিআর স্থগিত রাখার কথা বলেছেন।’’ সরকারের মুখের কথাকে সরকারি নথিতে রাখার দাবিতেই বিরোধীরা এখন প্রস্তাব আনতে চাইছে।