Narendra Modi

দিদির ‘গোপন বন্ধু’বাম-কংগ্রেস, তির এ বার প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগ উড়িয়ে বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল— সংশ্লিষ্ট তিন পক্ষই পাল্টা দাবি করেছে, বাংলায় বিজেপির হাওয়া সুবিধার নয় বুঝেই মোদীকে এ সব কথা বলতে হচ্ছে!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৩৭
Share:

হলদিয়ার মঞ্চে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

এত দিন বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই চালই পাল্টা দিলেন নরেন্দ্র মোদী! হলদিয়ায় বিজেপির সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, বাম ও কংগ্রেস আসলে রাজ্যের শাসক তৃণমূলেরই ‘গোপন বন্ধু’। পর্দার আড়ালে ওই তিন পক্ষ মিলে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ করছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগ উড়িয়ে বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল— সংশ্লিষ্ট তিন পক্ষই পাল্টা দাবি করেছে, বাংলায় বিজেপির হাওয়া সুবিধার নয় বুঝেই মোদীকে এ সব কথা বলতে হচ্ছে!

Advertisement

হলদিয়ায় সরকারি অনুষ্ঠানের আগে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে রবিবার মোদী বলেছেন, ‘‘বাংলায় পরিবর্তন হবেই। তৃণমূল বিদায় নেবে। তবে গোপন বন্ধুদের থেকেও সাবধান থাকুন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ক্রিকেটে শোনা যায়, ম্যাচ ফিক্সিং হয়। এখানে পর্দার আড়ালে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমঝোতা চলছে। দিল্লিতে একসঙ্গে বসে রণকৌশল তৈরি করেন এঁরা।’’ মোদীর আরও অভিযোগ, ‘‘কেরলে তো বাম-কংগ্রেসের সমঝোতাই রয়েছে যে, পাঁচ বছর তোমরা লুঠপাট চালাও, পাঁচ বছর আমরা লুঠব! এখানে তৃণমূলও ষড়যন্ত্রে শামিল। তাই বাম-কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। এদের ভোট দিলে ধোঁকা খাবেন আপনারা!’’

সাম্প্রতিক কালে বিজেপিকে রোখার জন্য মমতার পাশে দাঁড়াতে বাম ও কংগ্রেসের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। আবার লাল ঝান্ডা নিয়ে আন্দোলন করেও ভোটটা গেরুয়া শিবিরকে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরই মধ্যে মোদীর মন্তব্য এই ‘সমঝোতা-তত্ত্বে’ নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সৌগতবাবু এ দিন অবশ্য বলেছেন, ‘‘ফিক্সিং করার মতো টাকা তৃণমূলের নেই, আমাদের তেমন ইচ্ছেও নেই। বিজেপি বরং সিপিএমের ভোট কেনার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছে।’’

Advertisement

কংগ্রেসের তরফে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলের প্রতি দিনের তরজায় বিরক্ত মানুষ বাম-কংগ্রেসের দিকে আসছেন বিকল্পের খোঁজে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, ওঁরা বাম-কংগ্রেসকে বিপদ মনে করছেন। সারদা-নারদে কারা কেমন গড়াপেটা করেছে, মানুষ জানেন।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূল, দু’পক্ষই বুঝতে পারছে বাংলায় তাদের জয় কঠিন। তাই দু’পক্ষ দু’রকম সমঝোতার অভিযোগ তুলছে। হারের ভয়ে প্রধানমন্ত্রীও এ সব বলছেন। প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, গোপন বৈঠকের প্রমাণ দিন!’’ বালিতে এ দিনই বামেদের সভায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও বলেছেন, ‘‘ইনি খুচরো সারদা-নারদ, উনি রাফাল! আমরা বিকল্প দিতে চাই। অনেকে বলছেন, তৃণমূলের সঙ্গে গিয়ে বিজেপিকে রুখছেন না কেন? আমরা ও’দিকে গেলে সব বিজেপির দিকে চলে যাবে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement