শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে পর্যুদস্ত হল ‘রাম-বাম জোট’! আরও একটি সমবায় দখল করল শাসকদল তৃণমূল। কয়েক দিন আগেই বিজেপির দখলে থাকা মহিষাদলের রমণীমোহন মাইতি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ কাশিমনগরে সমবায় নির্বাচনে বাম-বিজেপি জোটের বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। রবিবার পাঁশকুড়ার হাউর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুলশিটা পল্লিশ্রী কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে নির্বাচন ছিল। যেখানে সিপিএম ও বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীদের ধরাশায়ী করে পুনরায় সমবায়ে ক্ষমতায় ফিরল শাসকদল।
ওই সমবায়ে মোট আসন ১২। মোট ভোটার ৬১২ জন। তৃণমূল ১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। জোট সমর্থিত প্রার্থীরা দাঁড়ান আটটি আসনে। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, তৃণমূল জিতেছে সাতটি আসনে। বাকি পাঁচটি আসনে জিতেছেন বিরোধী প্রার্থীরা। সিপিএম অবশ্য রাম-বাম জোটের তত্ত্ব অস্বীকার করেছে। দলের পাঁশকুড়া বাজার এরিয়া কমিটির সম্পাদক নিতাই ষন্নিগ্রাহি বলেন, ‘‘আমরা তিনটি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী দিতে পারিনি। বাকি আটটি আসনে আমরা কোনও জোট ছাড়াই নিজেদের ক্ষমতায় লড়েছি।
অন্য দিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য বিজেপির অলোককুমার দোলই বলেন, ‘‘আমরা আটটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। প্রথম থেকে আমরা বোর্ড গঠনে আশাবাদী ছিলাম। তবে সমবায় সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য বিজেপির লোকেদের আটকানো হয়েছে। অথচ প্রতিটি গ্রাম থেকে তৃণমূলের সদস্যদের সমবায়ে ঢোকানো হয়েছে। এ কারণেই আমরা ক্ষমতায় আসতে পারলাম না।’’
সিপিএমের নিতাই দাবি করেছেন, তাঁরা দু’টি আসনে জিতেছেন। অন্য দিকে, অলোকের দাবি, বিজেপি জিতেছে পাঁচটি আসনে। এখানেই ‘রাম-বাম’ জোটের তত্ত্ব হাজির করেছে শাসকদল। পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুজিত রায় বলেন, ‘‘মুখে বলছে জোট হয়নি। বামেরা বলছে, দু’টি আসন জিতেছে। আবার বিজেপি বলছে, তারাই পাঁচটি আসনে জিতেছে। এরা নিজেরাই ঠিক করুক, জয়ী প্রার্থীরা আসলে কার। আমরা এটা ভেবেই খুশি হয়েছি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই হাউর গ্রাম পঞ্চায়েতেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। আজ সমবায়ের নির্বাচনে তাঁরাই তৃণমূলকে জিতিয়েছেন।’’