—ফাইল চিত্র।
রামমন্দির উদ্বোধনের আর আট দিন বাকি। ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে অযোধ্যায় বহু উপহার গিয়েছে। ‘রামজন্মভূমি’তে প্রচুর উপহার পৌঁছছে সীতার ‘জন্মভূমি’ থেকেও।
জনশ্রুতি, সীতার জন্মভূমি মিথিলা এখন নেপালের তরাই এলাকার জনকপুর। মিথিলার রাজা জনকের নামে তার নাম জনকপুর রাখা হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, নেপালে ‘সীতার জন্মভূমি’ জনকপুর ধাম থেকে ইতিমধ্যেই তিন হাজারেরও বেশি উপহার এসেছে অযোধ্যায়। তার মধ্যে রয়েছে সোনার গয়না, সোনার থালা, বাটি-সহ আরও অনেক কিছু। কেন্দ্রীয় সরকারের এক্স হ্যান্ডল ‘মাইগভইন্ডিয়া’ থেকে সেই সব উপহার সামগ্রীর কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
অযোধ্যা ও জনকপুরকে যমজ শহর হিসেবে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। রামায়ণের সঙ্গে জড়িত ভারতের তীর্থস্থানগুলিকে নিয়ে যে পর্যটন সার্কিট রয়েছে, সেই ‘রামায়ণ পরিক্রমা পথ’-এর সঙ্গে নেপালের জনকপুরকেও জুড়ে নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল এক সময়ে। কথিত আছে, জনকপুরের জানকী মন্দির সীতার জন্মস্থানের উপরেই তৈরি। রয়েছে রাম-সীতার বিবাহমণ্ডপও। ২০১৬ সালে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় জানকী মন্দিরে গিয়েছিলেন। রাম-সীতার মূর্তির সামনে মেঝেতে আসন করে বসে পুজো দিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার পর জনকপুরের নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি বলেছিলেন, “রাজা দশরথ ও রাজা জনক যে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন, অযোধ্যা ও জনকপুরের মানুষ তারই উত্তরাধিকারী। নেপালের সঙ্গে এই সম্পর্ককে ভারতের মানুষ যথেষ্ট মূল্য দেয়।” ‘রামলালা’র প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে সেই জনকপুর থেকেই প্রচুর উপঢৌকন এল অযোধ্যায়।