এর আগে বাম জাঠার উপরে হামলা হয়েছে বেশ কয়েক বার। এ বারও হামলার চেষ্টা হলে প্রতিরোধ করেই এগোতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। পুরুলিয়ায় রবিবার ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র পদযাত্রার সূচনা করে তিনি বলেছেন, ‘‘দাবি আদায়ের জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের মুখ তো চলবেই। সঙ্গে পা চালিয়ে যেতে হবে। দাঁড়িয়ে পড়লে চলবে না। কেউ যদি হামলা করে, ঝান্ডার ডান্ডাটা তখন উঁচু করে তুলে ধরতে হবে!’’
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এ দিন শুরু হয়েছে বামেদের পদযাত্রা। যার শেষে সমাবেশ হবে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে। সিউড়িতে বিমান বসু, ফরাক্কায় শ্যামল চক্রবর্তী, কোচবিহারে সুজন চক্রবর্তী, মালদহে মহম্মদ সেলিম, আসানসোলে মদন ঘোষের মতো সিপিএম নেতারা পদযাত্রার শুরুতে পথ হেঁটেছেন। বিভিন্ন জায়গায় যোগ দিয়েছেন বামফ্রন্টের শরিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বও। বাঁকুড়া, বীরভূম বা পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলার যে সব অংশে আগে ‘সন্ত্রাসে’র জেরে জাঠা নিয়ে যাওয়া য়ায়নি, সেখানেও এ বার পদযাত্রা হবে। সূর্যবাবুদের বক্তব্য, কৃষক থেকে শ্রমিক, শিক্ষক থেকে ছোট ব্যবসায়ী— সব অংশের মানুষের দাবিকে সামনে রেখে পদযাত্রা চলবে।
বিপিএমও-র পদযাত্রা চলাকালীনই পথে নামবে বাম কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ সমন্বয় কমিটি। উৎপাদনের দেড়গুন ফসলের দাম এবং কৃষিঋণ মকুবের দাবিতে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম ও কলকাতায় জমায়েত করবে তারা। তাদের কৃষক জাঠাও বাংলার কয়েকটি জেলা ঘুরে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে যাবে। পরে দিল্লিতে হবে কৃষক সমাবেশ।