High Court

High Court: বিচারপতির সঙ্গে দ্বন্দ্বে বহিষ্কৃত আইনজীবী

হাই কোর্টের আইনজীবী শিবিরের বক্তব্য, বিচারপতির রায়ে কৌঁসুলিরা যে সব সময় খুশি হন, এমন নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র।

মামলা-মকদ্দমা মানেই বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে, আরও নির্দিষ্ট করে বললে দু’পক্ষের কৌঁসুলিদের বাদপ্রতিবাদ, কলহবিবাদ। কিন্তু বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে খোদ বিচারপতির সঙ্গে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর বাদানুবাদ এত দূর পর্যন্ত গড়াল যে, চপলেশ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই কৌঁসুলিকে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাতেও অবশ্য এজলাস ছাড়েননি ওই আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত শেরিফকে তলব করেন বিচারপতি। তবে শেরিফ এজলাসে ঢোকার কিছু ক্ষণ আগেই স্থান ত্যাগ করেন এসএসসি-র ওই আইনজীবী।

Advertisement

হাই কোর্টের আইনজীবী শিবিরের বক্তব্য, বিচারপতির রায়ে কৌঁসুলিরা যে সব সময় খুশি হন, এমন নয়। কিন্তু এজলাসে কোনও আইনজীবীর এমন ভাবে বিচারপতির সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা বিরল। কলকাতা হাই কোর্ট ও বার অ্যাসোসিয়েশনের গরিমার পক্ষে সেটা স্বাস্থ্যকর নয়।

ঘটনার সূত্রপাত সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলাকে ঘিরে। ওই মামলার আগের শুনানিতে এসএসসি-র কৌঁসুলির কাছ থেকে যথাযথ উত্তর না-পেয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন চেয়ারম্যান ও সচিব এসে আদালতে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দেন। তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, বিচারপতি এটাও জানান যে, কমিশনের কৌঁসুলি যদি আগেই এই ব্যাখ্যা দিতে পারতেন, তা হলে চেয়ারম্যান ও সচিবকে আসতে হত না। কৌঁসুলি যে বার বার আদালতে বিষয়টির যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তা-ও জানানো হয়। তার পরেই কমিশনের আইনজীবী এই বিষয়ে আপত্তি জানান। তাঁর বক্তব্য এবং বাচনভঙ্গি নিয়ে আপত্তি তোলেন বিচারপতি। তিনি জানান, আরও অনেক মামলার শুনানি রয়েছে। তাই কমিশনের আইনজীবী যেন বিষয়টি নিয়ে আদালতের সময় নষ্ট না-করেন। কমিশনের কৌঁসুলিকে এজলাস ত্যাগ করতেও বলেন বিচারপতি। কিন্তু আদালত সূত্রের খবর, কমিশনের আইনজীবী
এজলাস ছাড়তে চাননি। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শেরিফকে ডেকে পাঠান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement