বিশ্বনাথ চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন অসংখ্য মানুষ। — নিজস্ব চিত্র।
আরএসপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর শেষকৃত্য রবিবার সম্পন্ন হয়েছে বালুরঘাটে। প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রবিবার সকালে তাঁর বাসভবন এবং জেলা পার্টি জড়ো হন অসংখ্য মানুষ। তার পর মিছিল করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাটের খিদিরপুর শ্মশানে। সেখানেই হয় শেষকৃত্য। শনিবার সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রীর।
রবিবার ভোরে কলকাতা থেকে সড়কপথে বালুরঘাটে এসে পৌঁছয় বিশ্বনাথের দেহ। সকাল হতেই ভিড় জমে যায় তাঁর বাসভবনে। সেখানে উপস্থিত হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম। বিজেপির জেলা নেতৃত্বও বাড়িতে এসে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এর পর পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে বিশ্বনাথের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় আরএসপির জেলা সদর কার্যালয়ে। সেখানে সকাল ১০টা পর্যন্ত রাখা ছিল দেহ। প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বহু দলীয় কর্মী, সমর্থক। উপস্থিত ছিলেন সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, এসইউসিআই জেলা নেতৃত্ব। বামেদের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ, যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই, আরওয়াইএফ, পিএসইউ এবং এসএফআইয়ের সদস্যেরা শ্রদ্ধা জানান। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সচিব অজয়কান্তি সরকার। তিনি পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। রবিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে পার্টি অফিস থেকে শেষযাত্রা শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেহ পৌঁছয় বালুরঘাট খিদিরপুর শ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর।
শনিবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিশ্বনাথ। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বিশ্বনাথের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শনিবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। বাম আমলের মন্ত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ। টানা সাত বার বালুরঘাট থেকে আরএসপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।