Nabanna

হাসপাতালে কী পরিস্থিতি? ২ ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট চাই, চালু হল হেল্পলাইন নম্বরও

কলকাতার সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় এই নম্বর দেওয়া থাকবে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে, ওই নম্বরে ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি সাহায্য মিলবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ২১:৫৩
Share:

হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে অনুজ শর্মা আজ লালবাজারে পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন।—ফাইল চিত্র।

হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে, সোমবার নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা যে কেবল কথার কথা ছিল না, মঙ্গলবারই তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এ দিন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা লালবাজারে পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। ওই বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। হাসপাতাল চত্বরে গোলমাল রুখতে চালু হল একটি কন্ট্রোল রুম নম্বর (১৮০০৩৪৫৮২৪৬)।

Advertisement

কলকাতার সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় এই নম্বর দেওয়া থাকবে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে, ওই নম্বরে ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি সাহায্য মিলবে। এসএসকেএম, আরজি কর, এনআরএস, বিসি রায় হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কলকাতা পুলিশের আউটপোস্ট আগে থেকেই রয়েছে। এত দিন ওই সব আউটপোস্টের দায়িত্বে থাকতেন ওসি পদমর্যাদার অফিসার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এ বার সহকারি কমিশনার (এসি) পদমর্যদার এক জন অফিসার সর্ব ক্ষণ হাসপাতালগুলিতে থাকবেন।

গোটা বিষয়টি তদারকির জন্যে ডিসি (কমব্যাট)-কে নোডাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। ওই ৬ সরকারি হাসপাতালের এসি-রা প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর ডিসি কমব্যাটকে সেখানকার পরিস্থিতি জানাবেন। তিনি তা রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তা এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দেবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকেও যাচ্ছেন না মমতা, জানিয়ে দিলেন চিঠি পাঠিয়ে

এ দিন বৈঠকে হাসপাতালগুলিতে আরও সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে পরামর্শ দেবেন। প্যানিক বাটন-এর আওয়াজ যাতে আউটপোস্ট পর্যন্ত পৌঁছয়, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হবে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পুলিশি প্রহরা তো থাকছেই, তা ছাড়া সিভিক ভলান্টিয়ার, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া একটি পোর্টালও চালু হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: ‘এক জন জুনিয়র ডাক্তারের বাবা হয়ে জানি, ওদের কষ্টটা কোথায়’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement