লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ডেপুটেশনে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের যে ৮৭ জন কর্মী এবং অফিসার, তাঁদের লালবাজারে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের বাকি কর্মী-অফিসারেরা ডেপুটেশনে কোথায় কোথায় রয়েছেন, তা জানানোর জন্য থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। কারণ, ভাঙড় এবং কাশীপুর কলকাতা পুলিশের অধীনে এলে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজন বিপুল সংখ্যক পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের জারি করা সেই নির্দেশে থানাগুলিকে বলা হয়েছিল, তাদের কর্মীরা কোথায় কর্মরত কিংবা কোনও অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারের সঙ্গে যুক্ত আছেন কি না, তা জানাতে হবে। একই সঙ্গে জানাতে হবে, কোনও কর্মী রাজ্য বা জেলা পুলিশে কর্মরত রয়েছেন কি না। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেই তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছিল থানা এবং বিভিন্ন ইউনিটকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে থানাগুলি ইতিমধ্যেই সেই তালিকা তৈরি করে পাঠিয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, বর্তমানে কলকাতা পুলিশে সব পদ মিলিয়ে কর্মী ও অফিসারের ঘাটতি রয়েছে ১০ হাজারের কাছাকাছি। এই অবস্থায় তাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে ভাঙড় এবং কাশীপুর এলাকা। বাহিনীর ঘাটতি পূরণে ডেপুটেশনে থাকা প্রায় ১০০ জনকে ফিরিয়ে আনার জন্য নবান্নে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন খোদ কলকাতার নগরপাল। সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশ থেকে প্রায় ৫০০ কর্মীকে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল লালবাজারের তরফে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি মঞ্জুর না হলেও প্রথমটি মঞ্জুর হয়েও বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা পুলিশের একাংশের মতে, ওই ঘাটতি মেটাতেই বাহিনীর বাকি যে কর্মী-অফিসারেরা জেলা পুলিশ কিংবা অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসদের সঙ্গে আছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দক্ষিণ শহরতলির একটি থানার এক আধিকারিক জানান, তাঁদের থানার দুই পুলিশকর্মী ডিউটি করছেন জেলা পুলিশের অধীনে। তাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে লালবাজারে।
প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের আটটি থানা নিজেদের অধীনে নিয়ে দ্রুত সেখানকার দায়িত্ব নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, বর্তমানে ভাঙড় এবং কাশীপুর থানায় রাজ্য পুলিশের যে কর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশকেই সেখানে রেখে দেওয়া হবে। এর বাইরে ওই এলাকায় পুলিশকর্মী পাঠানোর জন্য লালবাজার প্রতিটি থানার কাছে নাম জানতে চেয়েছিল। যার ভিত্তিতে থানাগুলির তরফে সেই তালিকাও পাঠানো হয়েছে।