এই হলটি পোড়ানোর অভিযোগ মোর্চার বিরুদ্ধে। ছবি: রুধীর তামুর ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
পাহাড়ে মোর্চার তাণ্ডব অব্যাহত। এ বার কার্শিয়াঙে ঐতিহ্যবাহী রাজ রাজেশ্বরী কমিউনিটি হল পোড়ানোর অভিযোগ উঠল মোর্চা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোর্চা নেতৃত্ব।
পুলিশ জানিয়েছে, আগুনে প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কার্শিয়াঙের প্রাচীন ওই হলটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ রাজেশ্বরী হল থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকল আসার আগেই অবশ্য স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। স্থানীয়দের দাবি, হলের কাছাকাছি পৌঁছতেই কেরোসিনের গন্ধ পান তারা।
আরও পড়ুন
গাড়িতে সমর্থকের দেহ, খুকুরি নিয়ে গোর্খা নেতাদের হুঙ্কার সমতলেও
পুলিশ জানিয়েছে, বেসরকারি ট্রাস্ট পরিচালিত ওই হলের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন এক জন কেয়ারটেকার। কেয়ারটেকারের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ওই হলের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই হলের ভিতরের সেগুন কাঠের টেবিল-চেয়ার ভস্মীভূত হয়ে যায়। কেবলমাত্র কংক্রিটের ছাদ ছাড়া আর কিছুই আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচানো যায়নি। পুলিশের দাবি, রক্ষীবিহীন ওই হলে আগুন লাগিয়েছে মোর্চা আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই।
কার্শিয়াঙের রাজ রাজেশ্বরী কমিউনিটি হল তৈরি হয়েছিল ১৯৩০ সালে। বহু বছর ধরে এখানে স্থানীয় বাঙালি বাসিন্দাদের উদ্যোগে দুর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়স্থলও ছিল এটি।