আদালত থেকে বেরোনোর সময় কুন্তলের মুখে শোনা গেল নতুন নাম। ফাইল চিত্র।
আদালত থেকে বেরোনোর মুখে নয়া দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। এ বার হুগলির তৃণমূল যুবনেতার মুখে শোনা গেল এক ‘রহস্যময়ী’র নাম। সেই ‘রহস্যময়ী’র যাবতীয় পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি। কুন্তলের দাবি, সব টাকা রয়েছে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তবে হৈমন্তীর কাছে যে টাকা রয়েছে, তা নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কি না, তা খোলসা করতে চাননি কুন্তল।
গোপাল দলপতির যে আর এক নাম আরমান গঙ্গোপাধ্যায়, কুন্তল তা-ও প্রকাশ্যে এনেছেন। সূত্রের খবর, এর আগে ইডি দফতরে গিয়ে নথি জমা দিয়ে এসেছিলেন গোপাল। তৎকালীন নথিতে এমন একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উল্লেখ ছিল, যাতে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘নমিনি’ হিসাবে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের উল্লেখ ছিল। তবে হৈমন্তী এবং গোপাল ওরফে আরমানের নাম করা ছাড়া বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি কুন্তল। বিচারাধীন বিষয় বলে এড়িয়ে যান। এর আগেও একাধিকবার গোপাল দলপতির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা-সহ নানা অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল। এমনকি তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের ‘মেন লোক’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গোপালের ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখে একটি সংস্থার হদিস পেয়েছেন তাঁরা। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কুন্তলকে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জানান, ‘কালীঘাটের কাকু’কে তিনি চেনেন না। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল অবশ্য পাল্টা বলেন, “ও সব জানে, ওকেই জিজ্ঞাসা করুন।” কুন্তল এ-ও দাবি করেন যে, ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসাবে যে সুজয় ভদ্রকে নিয়ে চর্চা চলছে, তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’ নন। দু’জনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে ‘কাকু-রহস্য’ আরও ঘনীভূত হয়। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কুন্তল, তাপস এবং নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের আর এক অভিযুক্ত নীলাদ্রিকে ৯ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।