মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দফতরে হতে চলেছে আমূল বদল। আগামী সপ্তাহেই বোর্ডের সদর দফতর ছেড়ে দেবেন জয় শাহরা। ফাইল ছবি
বছরের শেষে ভারতে আয়োজিত হবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। তার আগে এ দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে সাংগঠনিক ভাবে আরও বেশি শক্তিশালী দেখাতে মরিয়া বিসিসিআই। ফলে মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দফতরে হতে চলেছে আমূল বদল। আগামী সপ্তাহেই বোর্ডের সদর দফতর ছেড়ে দেবেন কর্মীরা। ভোল বদলানোর পর তাঁরা ফিরে আসবেন।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বোর্ডের সদর দফতর। ক্রিকেট সেন্টারের ভোলবদলের কারণে আপাতত দফতর বদল করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই অন্যত্র সরে যাবেন কর্মীরা। একটি বেসরকারি সংস্থার ঠিক করে দেওয়া জায়গা থেকে তাঁরা কাজ করবেন। মুম্বইয়ের প্রভাদেবী এবং ওরলি এলাকায় বোর্ডের কর্মীরা ভাগাভাগি হয়ে কাজ করতে পারেন। দফতর সংস্কার হতে ছ’মাস মতো সময় লাগবে। কর্তাদের আশা, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে, অর্থাৎ বিশ্বকাপের আগেই তাঁরা মূল দফতরে ফিরে আসতে পারবেন।
২০০৬ সালে চার তলা বাড়িতে বোর্ডের সদর দফতর উঠে আসে। তিন তলায় মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার দফতর রয়েছে। বাকি তিনটি তলা বোর্ডের। মুম্বই সংস্থার অধীনস্থ অংশে কোনও সংস্কার হবে না। বাকি তিনটি তলায় হবে। খ্যাতনামী এক ভাস্করকে গোটা দফতরের সৌন্দর্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ তলায় আইপিএলের কর্মীরা কাজ করে। সেটি আমূল বদলে যাচ্ছে। ঝাঁ-চকচকে দফতরে থাকবে কনফারেন্স হল এবং আরও অনেক সুবিধা। বাকি দু’টি তলায় বোর্ডের বাকি কর্মীরা কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে তৎকালীন আইসিসি সভাপতি রে মালি এসে উচ্চকিত প্রশংসা করেছিলেন বোর্ডের সদর দফতরের। তখনই সেই দফতর বেশ আধুনিক ছিল। তবে মাঝের এই সময়ে গোটা বিশ্বে বিসিসিআইয়ের কদর আরও বেড়েছে। বিশ্বের ধনীতম বোর্ড হয়ে উঠেছে তারা। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই দফতর সংস্কার করা হবে।