(বাঁ দিকে) কিশোর দত্ত। কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে গিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বেশ খানিক ক্ষণ কথা হয়েছে দু’জনের। পরে কুণাল জানিয়েছেন, এসএলএসটি শরীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের তরফে তিনি অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে দেখা করে মামলায় তদ্বিরের বিষয়ে কথা বলেন। কুণালের দাবি, অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানির দিন রাজ্যের পক্ষ থেকে ‘সদর্থক ভূমিকা’ নেওয়া হবে।
২০১৬ সালের এসএলএসটি শরীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত হয়ে গেলেও নতুন মামলায় তা আটকে রয়েছে। নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকার শূন্যপদও তৈরি করেছিল। এ ব্যাপারটি গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে আনার কাজটি করেছিলেন কুণাল। কিন্তু আইনি জটে নিয়োগ কার্যকর হয়নি। বস্তুত, পর্ষদও হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, এই প্যানেল বৈধ। এর আগে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর কুণাল বলেছিলেন, ‘‘রেকমেন্ডেশন (সুপারিশ) পেয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, এমন এক জনের নামে মামলা করা হয়েছে, যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’’ কুণাল আরও বলেছিলেন, ‘‘কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করছেন। আমি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে গেলে তাঁরা ডেপুটেশন (স্মারকলিপি) দেন। তা আমি দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীকে হোয়াটস্অ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবী মামলা করে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন। কোর্টের স্থগিতাদেশ না উঠলে নিয়োগ সম্ভব নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান, সবাই চাকরি পান।’’
বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলাটি ওঠার কথা। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে কুণালকে অনুরোধ করা হয়েছিল, তিনি যেন তাঁদের হয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। রবিবার তৃণমূল ভবনে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কুণাল। তার পর সোমবার তিনি কিশোর দত্তের সঙ্গে হাই কোর্টে গিয়ে দেখা করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই চাকরিপ্রার্থীরাই সল্টলেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। পরে তাঁরা দেখা করেছিলেন কুণালের সঙ্গেও। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসাবেই বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে জোড়া বৈঠকেও হাজির ছিলেন কুণাল।