শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ‘গ্ল্যাক্সো বেবি’ ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ফুলটুসি’ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ‘গ্ল্যাক্সো বেবি’ ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ফুলটুসি’ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শোভনকে হাসপাতালে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে শনিবার দাবি তোলেন বৈশাখী। সেই দাবি ‘মিথ্যা’ বলে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেন কুণাল। এর পরে তার জবাব দিতে হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কুণালকে আক্রমণ করেন শোভন। কুণালকে ‘জেলখাটা, বিচারাধীন’ বলার পাশাপাশি ‘মুখ পোড়া হনুমান’-এর সঙ্গেও তুলনা করেন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন শোভন। তার জবাব দিতে গিয়েই আক্রমণ শানান কুণাল।
এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের বারান্দা থেকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শোভন আক্রমণ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তাঁর অভিযোগ, কুণাল বৈশাখী প্রসঙ্গে ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্য করেছেন। ক্ষোভের সুরে শোভন বলেন, ‘‘জেলে ভাত খেয়ে বহু সময় কাটিয়েছেন। তাঁরা এখন তৃণমূলের মুখপাত্র হয়ে কথা বলছেন। যাঁদের হয়ে কথা বলছেন, তাঁরাই শুনলে লজ্জা পাবেন। মহিলাদের প্রসঙ্গে কথা বলতে জানেন না ওই মুখপাত্র। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কোনও কথা বলার আগে সেই সব ফুটেজ দেখা হোক, যেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারের দাবি তুলেছিলেন। বলেছিলেন, আমি জেলে বসে ঢাকের আওয়াজ শুনব আর রাজ্যের অনেক তৃণমূল নেতা আনন্দে থাকবেন! এটা হবে না। সেই ব্যক্তির কথার কোনও গুরুত্ব নেই।’’
বিধানসভা নির্বাচনের আগেও শোভন-বৈশাখী ও কুণালের মধ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ পর্ব চলেছিল। সেই সময়েই শোভনকে ‘বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি’ বলে আক্রমণ করেছিলেন কুণাল। শনিবার ফের সেই কথা শোনালেন তিনি। একই সঙ্গে কুণাল আক্রমণও করেছেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখীকে। বিজেপি-র হয়ে ভোটের প্রচারে গিয়ে বৈশাখী স্লোগান তুলেছিলেন, ‘ঘরে ঘরে পদ্ম, তৃণমূল জব্দ’। সেটাকেই কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, ‘‘এখন তাড়িয়ে দিল পদ্ম, ফুলটুসি জব্দ!’’
কুণালের এই আক্রমণের পরে সে ভাবে পাল্টা কোনও মন্তব্য করেননি শোভন ও বৈশাখী। কিন্তু কুণাল শাসক তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবেই ওই মন্তব্য করেছেন। সেখানে তিনি স্পষ্টই বলেছেন, কাউকেই জোর করে আটকে রাখা হয়নি। শোভন অসুস্থ অবস্থাতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কুণালের কথায়, ‘‘উনি যদি সুস্থই থাকেন, তা হলে অসুস্থতার নাটক করেছিলেন কেন! তা হলে তো তাঁর ফিরহাদ হাকিমের মতো জেলে থাকা উচিত ছিল। উনি কেন হাসপাতালে থাকতে গেলেন!’’