(বাঁ দিক থেকে) অরিজিৎ সিংহ, শ্রেয়া ঘোষাল এবং কুণাল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
দু’জনেই দেশের প্রথম সারির সঙ্গীতশিল্পী। বলিউড থেকে টলিউড, তাঁদের সুরেই মেতে বিনোদন দুনিয়া। ভারতীয় সঙ্গীতজগতের সেই দুই তারকাই কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন। এক জনের মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অন্য জনের অবস্থানকে সাধুবাদ জানালেন।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে গান লিখেছেন অরিজিৎ সিংহ। সেই গান নানা মহলে প্রশংসিতও হয়েছে। অরিজিতের গানের নাম ‘আর কবে’। গানের মাধ্যমেই আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়েছেন অরিজিৎ। কুণাল শুক্রবার অরিজিতের অবস্থানের সমালোচনা করেছিলেন। কেন শুধু বাংলার ঘটনাতেই গান লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অরিজিৎ, দেশের অন্যান্য প্রান্তের অনুরূপ ঘটনায় কেন একই ধরনের প্রতিবাদ তিনি জানাননি, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। শনিবার আরজি কর-কাণ্ডে শ্রেয়ার বিবৃতির পর তাঁর অবস্থানকে সাধুবাদ জানালেন কুণাল।
আরজি করের ঘটনার আবহে কলকাতার কনসার্ট পিছিয়ে দিয়েছেন শ্রেয়া। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যে কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল, তা অক্টোবরে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, আরজি করে যা ঘটেছে, তা শুনে তিনি শিউরে উঠেছেন। কনসার্ট করার মতো অবস্থায় তিনি নেই। প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়াতে চান। সারা বিশ্বের মহিলাদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করেছেন শ্রেয়া।
কুণালের বক্তব্য, ধর্ষণ যে একটি সামাজিক সমস্যা, শুধু বাংলার সমস্যা নয়, তা মেনেছেন শ্রেয়া। সেই কারণেই তাঁর অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। শ্রেয়ার বিবৃতির প্রেক্ষিতে কুণাল বলেছেন, ‘‘শ্রেয়া ঘোষালের অবস্থানকে সাধুবাদ জানাই। আরজি কর নিয়ে আমাদের সকলের মতো তিনিও উদ্বিগ্ন। অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি সারা দেশ এবং বিশ্বের মহিলাদের সুরক্ষার কথা বলেছেন তিনি। কারণ, এই ধর্ষণ-খুনের সামাজিক সমস্যা, অপরাধটা নিয়ে সর্বত্রই প্রতিবাদ দরকার। এটা শুধু বাংলার সমস্যা নয়।’’
অরিজিতের গান প্রসঙ্গে শুক্রবার কুণাল বলেছিলেন, ‘‘অরিজিৎ ভাল গায়ক। ভাল ছেলে। আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে ‘আর কবে’ গানটিও দারুণ। সমর্থন করি। কিন্তু সাক্ষী মালিক ইস্যু থেকে সে দিনের বদলাপুর, তার বিচার চেয়ে হিন্দিতে ‘অউর কব’ গাইলেন না কেন? বিবেক শুধু বাংলায়? মুম্বই কর্মজগৎ, হিন্দির বাজার, কেরিয়ার, তাই ও সব ঘটনায় চুপ?’’ এ প্রসঙ্গে আগে অরিজিৎ বলেছিলেন, ‘‘অন্যায়, অপরাধ প্রত্যেক স্তরে। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানোর মুখ হয়ে উঠেছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসক। বৃহত্তর আন্দোলনের পথে এগিয়ে যাওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।’’ তবে অরিজিতের অবস্থান নিয়ে আপত্তি জানালেও শ্রেয়ার অবস্থানকে সমর্থন করলেন কুণাল।