রেস কোর্সের ধারে রোনাল্ড রস সরণির এক বটগাছে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ মিলল।
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুরে ওই গাছ থেকে দেহটি ঝুলতে দেখা যায়। মৃতের পরনে ছিল জিন্স। জামা ঝুলছিল রেস কোর্সের পাশের রেলিংয়ে। যুবকের দুই কানের পাশেই রয়েছে ঘষা খাওয়া ও ছেঁচড়ানো আঘাতের চিহ্ন। তা থেকে রক্ত বেরিয়ে সারা গা, এমনকী প্যান্টও ভিজেছিল রক্তে। মৃতের গলায় ছিল কালশিটে।
ওই যুবকের পরিচয় রাত পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘটনাটি আত্মহত্যা বা খুন, দুটোই হতে পারে। তবে কারও পক্ষে নিজের শরীরে ওরকম আঘাত করা সম্ভব নয় বলে দাবি পুলিশের। দেহটি ময়না তদন্ত করার পরে যদি প্রাথমিক ভাবে মনে হয় যে যুবককে খুন করা হয়েছে, তা হলে ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। এখন জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনার সময়ে ওই এলাকায় একাধিক লোক ছিল কি না, জানতে সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, জায়গাটি এমনিতে নির্জন। যে গাছটির ভিতরের দিকের ডালে যুবকের দেহ ঝুলছিল, তা রাস্তা থেকে কারও নজরে পড়ার কথা নয়। এ দিন গা়ড়ি থামিয়ে রাস্তার ধারে শৌচকর্ম করতে নেমেছিলেন এক অ্যাপনির্ভর ট্যাক্সির চালক। তিনিই প্রথম দেহটি দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে উঠে সামনের মোড়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হেস্টিংস থানার পুলিশ এবং লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা।
যুবকের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। এমনকী তাঁর জামা ও জিনসের পকেট পরীক্ষা করে টাকা বা অন্য কোনও কাগজও পায়নি পুলিশ।
বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার: এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তপন মিত্র (৬৫)। শনিবার, বিজয়গড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী তপনবাবু সস্ত্রীক বিজয়গড়ের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তপনবাবু ও তাঁর স্ত্রী পাশাপাশি দু’টি ঘরে থাকেন। সকালে দরজায় ধাক্কা দিয়েও স্বামীর ঘুম না ভাঙায় সন্দেহ হয় তপনবাবুর স্ত্রীর। স্থানীয় বাসিন্দদের খবর দিলে তাঁরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে যাদবপুর থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তপনবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পাঞ্জাবির পকেট থেকে সুইসাইড নোট মিলেছে। তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে ওই নোটে উল্লেখ রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। পুলিশের অনুমান, এর জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তপনববাবু।