প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহে পর্যাপ্ত সতর্কতা ছাড়াই ঘটা করে গণেশপুজো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, রবিবার ভাসানের দিন সন্তোষপুরের ওই পুজোমণ্ডপে তারস্বরে বাজছিল ডিজে-ও। অসুস্থ এক যুবক তার প্রতিবাদ করায় তাঁকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে সেখানে।
শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে শহরের কয়েকটি মন্দির-অভিমুখী জনতার মধ্যে আগেই সতর্কতা-বিধি নিয়ে ঢিলেমি দেখা গিয়েছিল। বকরি ইদের নমাজে ঘেঁষাঘেঁষি ভিড় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন কয়েক জন মুসলিম নাগরিক। অযোধ্যায় ভূমিপুজো বা জন্মাষ্টমীতেও কিছু রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতিতে ভিড় করে হঠকারিতার অভিযোগ উঠেছে। গণেশপুজোও সেই তালিকায় নাম লেখাল।
সন্তোষপুর মিনিবাস স্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সুমন চক্রবর্তী পাড়ার পুজো নিয়ে সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ করেছেন। সেই মতো তদন্ত করছে পুলিশ। পেশায় একটি বেসরকারি অফিসের কর্তা সুমনবাবু বলছেন, ‘‘গণেশপুজোটা কয়েক বছর ধরে পাড়ার এবং বাইরের কিছু ছেলের নেশা করা ও মস্তানির জায়গা হয়ে উঠেছে।’’ মাসখানেক ধরে ম্যালেরিয়ায় কাবু সুমনবাবু রবিবার পাড়ার পুজোয় ডিজে বক্সে শব্দদানবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি গান বন্ধ করতে বলায় গালিগালাজ, চড়থাপ্পড় সহ্য করতে হল। বাড়িতে আমার স্ত্রী, ছোট্ট মেয়েও ভয় পেয়ে গিয়েছিল।’’
তবে পুলিশের ভূমিকায় তিনি খুশি। ফোনে খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, বিষয়টির খোঁজখবর চলছে। দরকার মতো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।