আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
বান্ধবীর জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে গভীর রাতে ‘বাইক রাইড’ করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ২১ বছরের তরুণ। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ওই তরুণের বান্ধবীও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণ এবং তাঁর বান্ধবী—— কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ২টো নাগাদ একটি মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইএম বাইপাসের ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে অনেকটা দূরে ছিটকে পড়েন বাইকের চালক অভিষেক রায় এবং পিছনে বসা তাঁর বান্ধবী মনীষা রায়। বাইপাসে টহলদারির দায়িত্বে থাকা পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা অভিষেককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ছিল মনীষার জন্মদিন। অভিষেক মনীষার বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁরা জন্মদিনের অনুষ্ঠানের পর বাইকে চেপে বেরোয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর সময় কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারান অভিষেক। কারওর মাথাতেই হেলমেট না থাকায় দু’জনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।
আরও পড়ুন: গত ছ’দিনে কোথাও হিংসার ঘটনা ঘটেনি, বিবৃতি দিয়ে দাবি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মনীষার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: মুসলমান মহিলাদের বিজেপিতে আনছেন স্ত্রী, স্বামীর উপর চড়াও দুষ্কৃতীরা
হেলমেট বিহীন বেপরোয়া বাইক চালকদের বাগে আনতে প্রায় দু’মাস ধরে রাতের শহরে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বাইক বাজেয়াপ্ত করা থেকে শুরু করে, জরিমানা করা এমনকি গ্রেফতারও করা হয়েছে অনেককে। সেই অভিযান চালাতে গিয়ে বেশ কয়েকবার বেপরোয়া বাইক চালকদের হাতে মার খেতেও হয়েছে পুলিশকে। তারপরও যে বাইক চালকদের হুঁশ ফেরেনি তা শনিবারের রাতের এই ঘটনায় আবার প্রমাণিত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিষেকের বাইকের কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বরও ছিল না। নথিপত্রও পাওয়া যায়নি। অভিষেকের লাইসেন্স ছিল কি না, তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা।