‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’ নিয়ে শুধু প্রচার নয়, পরিকাঠামোও বাড়িয়েছে বিধাননগর পুলিশ। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে স্পিড ব্রেকারের পাশাপাশি দুর্ঘটনাপ্রবণ মোড়গুলিতে গার্ড রেলেরও বন্দোবস্ত হয়েছে। তাও চালকদের একাংশের হুঁশ ফিরছে না। শনিবারই হাওড়া, কলকাতা, সল্টলেক ও নিউ টাউন মিলিয়ে আটটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। আহত হন কমপক্ষে দশ জন। রবিবার ফের নিউ টাউনে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক যুবক।
পুলিশ জানায়, এ দিন বিকেলে নারকেলবাগানের দিক থেকে একটি গাড়ি তীব্র গতিতে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রাগাছি মোড় পার হয়ে ইকো পার্কের ১ নম্বর গেটের কাছে ঘটে দুর্ঘটনা। গার্ড রেলের মধ্যে দিয়েই তীব্র গতিতে যাওয়ার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুজয় ভদ্র (২২) নামে এক যুবকের। পুলিশের অনুমান, গাড়িটি সুজয়বাবুই চালাচ্ছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার কর্মী ছিলেন। সায়ক ঘোষ নামে গাড়ির আর এক যাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিউ টাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনাস্থলে তিনটি গার্ড রেল বসানো হয়েছিল। তার মধ্যে দিয়েই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেলন সুজয়বাবু।
পর পর এত দুর্ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশ কর্তাদের কপালে। বিধাননগরের এক পুলিশ কর্তা জানান, সচেতনতার প্রচার চলছে। পরিকাঠামো বেড়েছে। তাতেও মানুষের হুঁশ ফিরছে না। তাই সচেতনতা গড়ার ক্ষেত্রে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।
অন্য দিকে, শনিবার গভীর রাতে জেমস লং সরণি ও সখেরবাজার মোড়ে একটি দুর্ঘটনায় আহত হন ইমরান খান নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরিকে ধাক্কা মারে। ইমরান গাড়িতে ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।